শেষ মুহূর্তে এসে চট্টগ্রামের তিনটি আসনে প্রার্থী বদল করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম-৪ আসনে কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে দলটি। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে সরিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-১১ আসনটি ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি। আর আর চট্টগ্রাম-১০ আসনে নতুন করে প্রয়াত নেতা আব্দুল আল নোমানের ছেডেল সাঈদ আল নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণা করে বিএনপি। এরপর দ্বিতীয় দফায় আরও ৩৬টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এর মধ্যে কয়েকটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন ও রদবদল করেছে দলটি। বাকি আসনগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪টি আসনে শরিক দলের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ সালের উপনির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন
বিএনপিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন পেলেন রাশেদ খান
‘কপাল পুড়ল’ বিএনপির নীরবের, ‘চওড়া হাসি’ সাইফুল হকের
তবে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন আমীর খসরু। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বন্দর-পতেঙ্গা এলাকা থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ আসনটি তার ছেলে ইস্রাফিল খসরুর জন্য চেয়েছিলেন। তবে প্রয়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান তুর্য আগে থেকেই ওই এলাকায় সক্রিয় জনসংযোগ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে আমীর খসরু দীর্ঘদিনের আসন চট্টগ্রাম-১১ ছেড়ে চট্টগ্রাম-১০ এ আগ্রহ দেখান। কিন্তু চট্টগ্রাম-১১ আসনে নতুন করে কোনো প্রার্থীর নাম তখনও ঘোষণা করা হয়নি।
এদিকে চট্টগ্রাম-৪ আসনে কাজী সালাউদ্দিনকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। তবে দীর্ঘদিন কারাভোগ করা দলের কেন্দ্রীয় নেতা আসলাম চৌধুরীর অনুসারী এর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। অবশেষে দল এই আসনেও প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়।
জেবি

