আসন সমঝোতার কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-১২ আসন রাজনৈতিক মিত্রদের ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। ফলে বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব মনোনয়ন নিলেও তাকে সরে যেতে হবে। এই আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে ছাড় দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসন সমঝোতায় সাতটি আসনে মিত্রদের ছাড় দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
আসনগুলো হলো- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকা-১২, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৬, নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩, রাশেদ খান ঝিনাইদহ-৪, মোস্তফা জামাল হায়দারকে পিরোজপুর-১, ববি হাজ্জাজ ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ নিয়ে ভোটে লড়বেন। কেউ আবার নিজ দলের প্রতীকে লড়বেন তবে বিএনপি সেখানে প্রার্থী দেবে না।
আরও পড়ুন: ‘কপাল পুড়ল’ রুমিন ফারহানার
এর আগে, গত সোমবার ঢাকা-১২ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব। এতোদিন এলাকায় প্রচার প্রচারণাও চালিয়েছেন তিনি।
মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ শেষে সাইফুল আলম নীরব বলেন, মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর মনোনয়ন জমা দিবো।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগে সময় কেটে যাচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের সমস্যা তুলে ধরছেন। সেগুলো নোট করে রাখা হচ্ছে। আমি জয়ী হলে সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবো ইনশাল্লাহ।’
তবে আসন সমঝোতার কারণে তাকে শেষ পর্যন্ত আসন ছেড়ে দিতে হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সাইফুল হক ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচনের চেষ্টা করছিলেন। এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও চালিয়েছেন।
তবে, এই আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস প্রার্থী হওয়ায় সাইফুল হক ঢাকা-১২ তে নির্বাচনের আগ্রহ দেখান। বিএনপি শেষ পর্যন্ত সেই আসনই তাকে ছাড় দিলো। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।
বিইউ/এমআই

