বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্যখাতে পূর্ণাঙ্গ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে জানিয়ে দলটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যখাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। এটি রোধ করা গেলে স্বাস্থ্যখাত উন্নত হবে এবং জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ ব্যয় করা সম্ভব হবে।’
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী চিকিৎসকদের মাঝে মত বিনিময় সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডা. রফিক বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্য খাতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা উপজেলা পর্যায়েই নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে অপ্রয়োজনে জেলা বা বিভাগীয় হাসপাতালে রোগী রেফার করার প্রয়োজন না পড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পেডিয়াট্রিশিয়ানসহ প্রয়োজনীয় জনবল ও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে একটি গণতান্ত্রিক ও কাঠামোগতভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও দরিদ্র নারীদের জন্য ‘ফ্যামিলি কার্ড’, কৃষকদের জন্য ‘কৃষক কার্ড’, আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবার বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখায়।’
ডা. রফিকুল জানান, ‘ফ্যামিলি কার্ড সরাসরি হতদরিদ্র নারীদের হাতে দেওয়া হবে, যাতে পরিবার কল্যাণে অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হয়। প্রথম বছরে ৫০ লাখ নারীকে এই কার্ড দেওয়া হবে এবং পাঁচ বছরে মোট আড়াই কোটি নারী এই সুবিধার আওতায় আসবেন।’
স্বাস্থ্যখাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের এনএইচএস মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশে একটি সমন্বিত ও জনবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে বিএনপির। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্যনীতি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত পেশাজীবীদের উদ্দেশে এই চিকিৎসক নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপির এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নজরুল ইসলাম, বিএনপির পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. রফিকুল কবির লাবু, নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ন্যাব সভাপতি জাহানারা সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রী, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিইউ/এএইচ

