বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আঘাত শুধু ডেইলি স্টার বা প্রথম আলোর ওপর নয়, আঘাত এসেছে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তির ওপর। সংবাদপত্রের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। মানুষের স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার এবং কথা বলার অধিকার আবারও সংকুচিত হচ্ছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা মিলনায়তনে 'মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ: যৌথ প্রতিবাদ’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন শুধু সচেতন হলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না; অপশক্তির বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসে গেছে। সংবাদপত্রের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি সরাসরি গণতন্ত্র এবং জুলাই বিপ্লবের ওপর আঘাত। আজকের পরিস্থিতিতে বুঝে উঠতে পারছি না, আমরা কোন বাংলাদেশে বসবাস করছি। সারাজীবন সংগ্রাম করেছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু বর্তমানে যে বাংলাদেশ দৃশ্যমান, সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন কখনো দেখিনি।
আরও পড়ুন
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চান সম্পাদকরা, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস বিএনপির
‘গণমাধ্যমে হামলার দৃশ্য বিশ্ব দেখেছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জুলাই যুদ্ধ ছিল এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের মাধ্যমে মানুষ গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আজ সেই অর্জিত জায়গাতেই আবার আঘাত হানা হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সংকট কোনো একটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে এখন এক হতে হবে। যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চান, যারা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান, তাদের জন্য এটি এক কঠিন পরীক্ষা।
এখন আর শুধু সচেতন থাকার সময় নয় জানিয়ে তিনি বলেন, গণতন্ত্র, গণমাধ্যম ও মানুষের অধিকার রক্ষায় সক্রিয়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। তার ভাষায়, সময় এসে গেছে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর।
এএইচ/জেবি

