রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পল্টন-মতিঝিল-রমনা-শাহবাগ ও শাহজাহানপুর নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী বদলাচ্ছে জামায়াত ইসলামী। সেখানে ড. হেলাল উদ্দিনের বদলে ডাকসু ভিপি ও ঢাবি ছাত্রশিবির সভাপতি সাদিক কায়েমকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় সূত্রে এমন তথ্যই জানা গেছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। তবে দুই-একদিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত খবর জানানো হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
শেষ পর্যন্ত সাদিক কায়েমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে তাকে লড়তে হবে বিএনপির হেভিয়েট প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের সঙ্গে। আরও লড়তে হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গেও।
গত ৩ নভেম্বর ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মির্জা আব্বাসের নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে থেকেই এই আসনে দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনকে প্রার্থী করে জামায়াত।
প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আসনটিতে পুরোদমে প্রচারণা চালাচ্ছেন হেলাল উদ্দিন। গোটা এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গুঞ্জন ছিল, জামায়াত এই আসনে আলোচিত ও পরিচিত মুখ শরিফ ওসমান হাদিকে সমর্থন দিয়ে নিজেদের প্রার্থী হেলাল উদ্দিনকে সরিয়ে নিতে পারে। তারই মধ্যে আলোচনায় চলে আসে সাদিক কায়েমের নাম।
এ বিষয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘অনেক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেক প্রস্তাব আছে। এখনো সেভাবে কোনো কিছু সিদ্ধান্ত হয় নাই। সময় হলে জানতে পারবেন।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে তৃণমূলের নেতাদের পরামর্শ, জরিপের ফলাফলকে গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি। এরপর জয়ের সম্ভাব্যতা নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আরও কয়েকটি আসনে একইভাবে প্রার্থী পরিবর্তন করা হতে পারে।
এর আগে গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মুখলিছুর রহমান নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে একই আসনে দলের প্রার্থী সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে সমর্থন জানান।
প্রার্থী বদলের বিষয় নিয়ে পল্টন থানা জামায়াতের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো বলার মতো কিছু নেই।’
প্রার্থী বদল হচ্ছে এটা কি ঠিক আছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটুকু ঠিক আছে। আপাতত এই পর্যন্তই জানুন। দুই-একদিন পর বাকিটা জানতে পারবেন।’
এদিকে সাদিক কায়েমের প্রার্থী হওয়ার আলোচনার মধ্যে তাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন শরিফ ওসমান হাদি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সাদিক কায়েম আমার ভাই। তিনি ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচন করলে আমার ইলেকশন জার্নিটা আরও দারুণ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। জুলাই জজবার দুই প্রাণ একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। সাদিকের জন্য অনেক দোয়া।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘দেশপ্রেমিক জনতার জোয়ারই ওসমান হাদির কর্মী। সার্বভৌম বাংলাদেশের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও দোয়াই আমার শক্তি। ঢাকা-৮ এর সমগ্র ময়দানই দলহীন হাদির দল। ইনসাফ জিন্দাবাদ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’
বিইউ/এএইচ

