দাবি না মানলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না— এমন বক্তব্য অগণতান্ত্রিক আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন।’
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জনঅধিকার পার্টির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন জরুরি। গণতন্ত্রের বিকল্প কোনো চিন্তা জাতির জন্য ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। সংস্কার প্রক্রিয়ায় যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। মতভেদ থাকলে তা নির্বাচিত সরকারের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।’
বিএনপি অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়নের স্লোগানকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায় উল্লেখ করে খসরু বলেন, ‘অর্থনীতিকে কোনো একক গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। নারী, প্রবীণ, অবসরপ্রাপ্তসহ গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সবাইকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে। নাগরিকদের আয় বাড়লে তারা ট্যাক্স দেবে এবং সেই ট্যাক্সের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার দাবিও তুলতে পারবে।’
বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা শেখ হাসিনার ভাষাতেই কথা বলছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলেও দেশে স্বৈরাচারি মানসিকতা রয়ে গেছে, যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পথে বড় বাধা।’
গণতন্ত্রে বিভেদের সুযোগ নেই দাবি করে আমীর খসরু বলেন, ‘সবার মত প্রকাশের অধিকারই হলো গণতন্ত্র। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহনশীলতা ও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’
শেখ হাসিনার সময়কার শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘হাসিনা না থাকলেও তার মানসিকতার লোক দেশে রয়ে গেছে। তারা সামান্য ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না এবং অল্পতেই মব তৈরি করে অন্যকে মানতে বাধ্য করে। এটি গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।’
চব্বিশের আন্দোলন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘এটি কারও একার কৃতিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল।’
এএইচ/এএইচ

