এই তো কদিন আগের ঘটনা। বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার সঙ্গে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লার কথার যুদ্ধ দেখেছে গোটা দেশ। সেই তিক্ততা ভুলে নিজ শহরে হাসনাতকে পেয়ে তার জন্য উপহার পাঠালেন রুমিন ফারহানা। কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সে খবরও নিলেন।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে আয়োজিত ‘নতুন সংবিধান’ বিষয়ক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ কথা জানিয়েছেন হাসনাত স্বয়ং।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘রুমিন ফারহানার সঙ্গে আমাদের একটা মনোমালিন্য হয়েছে। আমরা এসেছি, ওনি ওনার লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছেন, আমাদের এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। আমাদের জন্য কিছু উপহারও পাঠিয়েছেন।’
হাসনাত বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য পজিটিভ বার্তা। আমাদের অবশ্যই ওয়েলকাম করা উচিত।’
এর আগে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ভবনে রুমিন ফারহানার অনুসারীরা এনসিপির এক নেতাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বিএনপির এই নেত্রী নিজে নির্দেশ দিয়ে এই ঘটনা ঘটান বলে দাবি করে এনসিপি।
বিজ্ঞাপন
সেদিনই ইসিতে সংবাদ সম্মেলনে রুমিন ফারহানাকে বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক বলে কটাক্ষ করেন হাসনাত। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের থেকে সবরকম সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলেও দাবি করেন। পতিত সরকারের কাছে রুমিন ফারহানা প্লটের আবেদন করেছিলেন, সে কথা উল্লেখ করেন হাসনাত।
এর প্রতিবাদে হাসনাতকে ডাকাতের মতো দেখায় বলে কটাক্ষ করেন রুমিন ফারহানা। এছাড়া তাকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে গালি দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেন। তুলে ধরেন ছাত্রলীগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা। টকশোতেও এ দুজনের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়। অবশেষে বরফ গলার আভাস মিলল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই অনুষ্ঠানে নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়েও কথা বলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে এখন নির্বাচনবিরোধী বলা হচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা নির্বাচনসহ আরও দুটি বিষয়ের কথা বলছি। আমরা বলছি আমাদের নির্বাচনও লাগবে আবার বিচার আর সংস্কারও লাগবে।’
আমাদের অবশ্যই সংস্কারের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
নুরুল হক নুরের ওপর হামলার বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘নুর ভাইয়ের ওপর আক্রমনটা আমাদের জন্য একটা ম্যাসেজ। আমরা দেখেছি তারেক জিয়াকেও মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন- এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এস. এম সাইফ মোস্তাফিজ ও ডা. মাহমুদা মিতা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ এবং বিজয়নগর উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
এএইচ
