- বিএনপিতে সবাইকে ছাড়িয়ে ফজলু
- দুদু ও বুলুকে সতর্ক করেছে বিএনপি
- বক্তব্যের জেরে তোপের মুখে জামায়াতের মাসুদ
- বিতর্কিত বক্তব্যে এগিয়ে এনসিপির পাটওয়ারী
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর রাজনীতির মাঠে সক্রিয় দলগুলোর নেতারা কেউ কেউ বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ছেন। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একাধিক নেতা অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য রেখে নিজেদের দলকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন! এদের কেউ দুঃখ প্রকাশ করে দায় সারলেও দল থেকে নেওয়া হচ্ছে না কঠোর ব্যবস্থা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, নেতারা সংশ্লিষ্ট দলের প্রশ্রয়ে এমন লাগামহীন বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন কি না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ফজলুর রহমানের বক্তব্য ঘিরে বিএনপিকে হেফাজতের কড়া হুঁশিয়ারি
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপি নেতাদের কেউ দলের শীর্ষ নেতার নাম নিতে ওজু করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কেউ আবার দল ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিলে ‘সুস্থ রাখা হবে না’ বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন। দল নিয়ে উল্টাপাল্টা স্লোগান দিলে জিহ্বা কেটে নেওয়ার হুমকি দেওয়া নেতাও আছেন বিএনপিতে।
জামায়াতের কেউ তাদের আমিরকে দেখতে চান সমালোচনার ঊর্ধ্বে। দীর্ঘদিন জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করা বিএনপি ও দলটির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কেউ করছেন বিরূপ মন্তব্য। ইসলামের চার খলিফার একজনকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ কথা বলে তীব্র সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে জামায়াত নেতাকে।
আরও পড়ুন: ফজলুর রহমানের বক্তব্য সরকার সমর্থন করে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি নেতাদের কেউ কেউ অন্য দলের নেতাদের কটাক্ষ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেউ আবার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যও দিচ্ছেন।
তবে এই তিন দলের নেতাদের মধ্যে যারা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন তাদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও বরকত উল্লাহ বুলুকে সতর্ক করা হয়েছে। এর বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্য দুই দলের নেতাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপের কথা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: বেফাঁস মন্তব্যে বুলু-দুদুকে সতর্ক করে বিএনপির চিঠি
বিএনপিতে সবাইকে ছাড়িয়ে ফজলু, পিছিয়ে নেই দুদু-বুলুও
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার একাধিক বক্তব্য নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে তীব্র সমালোচনা হয়েছে।
ফজলুর রহমানকে থামাতে খোদ দলের নেতারাও হাইকমান্ডের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে দুদু এবং বুলুকে দলীয় অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে সভা-সেমিনারে কোনো ধরনের বক্তব্য না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে গত জুনে।
আরও পড়ুন: ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন বিএনপি নেতা হাবিব
লক্ষ্য করা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনীতির মাঠে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ফজলুর রহমান নিজের দল, জামায়াত, এনসিপি, প্রধান উপদেষ্টা কাউকে ছাড় দেননি। সবাইকে নিয়ে একের পর বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে এক বক্তব্যে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ও এর তরুণ উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি দেশ চালাইবেন, নাক টিপলে দুধ বের হবে, কে আপনি?’ গত জুলাইয়ে কিশোরগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে এই নেতা বলেন, ‘হাসিনা খারাপ, আওয়ামী লীগ খারাপ না।’ খোদ বিএনপি নেতাকর্মীরা এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তখন। এছাড়া একটি অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতিতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এতে সায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাবিবের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান
গত জুন মাসে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকের প্রাক্কালে ফজলুর রহমান বলেন, ‘ইউনূস সাহেব যখন বাংলাদেশের সমস্ত পথ হারাইয়া ফেলছেন। উনি পথ পাওয়ার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের কাছে ১২ ঘণ্টা প্লেন চালাইয়া লন্ডন পর্যন্ত গেছেন।’
‘৫০০ টাকার জায়গায় ১০০০ টাকা দিলে ওয়াজের বা মোনাজাতের ভাষা পরিবর্তন হয়ে যায়’- বলে আলেমদের কটাক্ষ করে টকশোতে বক্তব্য দিয়েছেন এই আইনজীবী। তারেক রহমান দেশে এলে এবং সঠিক রাজনীতি করলে ‘মোল্লা-মুনশিরা’ পাত্তা পাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি থেকে বিএনপিতে আসা চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব গত ৯ আগস্ট এক বক্তব্যে বলেন, ‘ধানের শীষের বাইরে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবার কথা বলে সেখান থেকে কেউ সুস্থভাবে ফিরে আসতে পারবে, আমার কাছে সেটা মনে হয় না।’ কাছাকাছি সময়ে ‘নৌকা আর ধানের শীষ দুই সাপের একই বিষ’- এমন স্লোগানের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘যারা এই স্লোগান দেবে তাকে ধরে হাতের কাছে দা, কুড়াল, চাকু যা থাকবে তাই দিয়ে জিহ্বা কেটে কালো কুকুর দিয়ে খাওয়াবেন। মামলা হলে আমার নামে হবে।’ এই বক্তব্য নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে বললেন দুদু
পাবনার আটঘরিয়া-ঈশ্বরদীতে জামায়াতের কোনো লোক মসজিদে ইমামতি ও মুয়াজ্জিনি করতে পারবে না বলে বক্তব্য দিয়েও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেইলকে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘বক্তব্যের অসম্পূর্ণ অংশ ছড়িয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে। জামায়াতের লোকজন এসব করছে। আমার দল, নেত্রী, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা কথা বলবে, বিএনপিকে কটাক্ষ করে স্লোগান দেবে আমি চুপ করে থাকবো? আমি মনে করি দলের স্বার্থ পরিপন্থী কোনো কথা আমি বলি না। কর্মীদের ধানের শীষ ছাড়া অন্য প্রতীকে ভোট দিতে নিষেধ করলেও যদি সমালোচনা হয় তাহলে কিছু বলার নেই।’
দল থেকে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ায় সতর্ক বার্তা পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, দল কেন সতর্ক করবে? দল তো জানে আমি ভুল কিছু বলছি না।’
আরও পড়ুন: যারা আ.লীগের সাথে বিএনপির তুলনা করে তারা শয়তানের বাবা: দুদু
এদিকে গত মে মাসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বিএনপি নেতারা যদি একত্রে প্রস্রাব করেন, তাহলে এই প্রস্রাবের তোড়ে ভেসে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়বা। এমন কোনো কথা বলবা না যে কথার দায়িত্ব নিতে পারবা না।’ যা নিয়ে ব্যাপক ট্রল হয় ফেসবুকে। তার জবাব দিতে গিয়ে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেছিলেন, ‘এত কিছু না করে বিগত ১৬ বছরে দুদু ভাই একটা গণপ্রস্রাব কর্মসূচির ডাক দিলেই পারতো!’
এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুও একাধিকবার বিতর্কিত বক্তব্য রেখেছেন। এনসিপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তারেক রহমানের নাম উচ্চরণের আগে ওজু করার পরামর্শ দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য ওজুর সঙ্গে তারেক রহমানের নাম যুক্ত করার কথাটি মনের অজান্তে বলে ফেলার দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করেন বুলু।
এদিকে সমালোচনার মুখে গত ৫ জুন বিএনপি নেতা দুদু ও বুলুকে দলীয় অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে সভা-সেমিনারে কোনো ধরনের বক্তব্য না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার নিজেকে ব্যর্থ করলে বিএনপির কিছু করার নেই: রুমিন
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাও মাঝেমধ্যে গরম বক্তব্য দিচ্ছেন। কিছু বক্তব্য দেওয়ার পর দলের ভেতরে-বাইরে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। টকশোতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে ‘বীভৎস মববাজি’ বলে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফি পাপিয়া টকশোতে প্রবাসীদের ভোটার কেন হতে হবে সেই বক্তব্য দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। জামায়াত নেতাদের ধর্ম ব্যবসায়ী বলে বক্তব্য দিয়েও দলটির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়তে হয় পাপিয়াকে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: পাটওয়ারী
এনসিপিতে এগিয়ে পাটওয়ারী
এদিকে বেফাঁস মন্তব্যের ক্ষেত্রে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অন্যদের থেকে এগিয়ে আছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের এলাকায় গিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে নাসীর দশ ট্রাক অস্ত্রের চালান নিয়ে বক্তব্য দেন। বলেন, ‘যদি অস্ত্র হ্যান্ডেলই করতে না পারেন তাহলে নিয়ে আসলেন কেন?’
এমন বক্তব্যে ফুঁসে ওঠেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওই সময় তারা বাবরসহ বিএনপি নেতাদের নিয়ে কথা বলার আগে ভেবেচিন্তে বলার পরামর্শ দেন। কক্সবাজারে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের ব্যাপারে কটূক্তি করলে তোপের মুখে পড়েন পাটওয়ারীসহ এনসিপির অন্য নেতারা।
আরও পড়ুন: অস্ত্র হ্যান্ডেল করতে না পারলে নিয়ে আসছিলেন কেন, বাবরকে পাটওয়ারী
সবশেষ দলের এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশেও বিতর্কিত বক্তব্য দেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাথায় ঘিলু (মেধা) নেই এমন বক্তব্য দেন তিনি। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। অবশ্য এই বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তাদের বয়স কম, আমাদের সন্তানের বয়সী। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে, তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে।’
জামায়াতের মাসুদের বক্তব্যে সমালোচনা
অন্যদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের কিছু বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। গত ১১ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণ করার আগে ওমর (রা.) কী ছিল? সবচেয়ে জঘন্য মানুষ ছিল, পশু ছিল।’ এছাড়াও ওমর (রা.)কে দেখে এক নারী ইজ্জত বাঁচাতে গহনা দিয়ে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে তওবা করে ক্ষমা চাওয়ার জন্যও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ৭১ টিভির প্রশংসা: বিতর্কের মুখে ক্ষমা চাইলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
সমালোচনার মুখে অন্য একটি অনুষ্ঠানে শফিকুল ইসলাম মাসুদ ওমর (রা.)-কে নিয়ে বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ঢাকা মেইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও পাঠান। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি দুদিন আগে একটি বক্তব্যে ওমর ফারুক (রা.)-কে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছি। ভুল হয়েছে আমার। পাঁচটা কথা, পাঁচ হাজার কথা বললে দুটো কথা ভুল হতেই পারে। ভুল হয়েছে আমার। এই ভুলের জন্য চোখের পানি ফেলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। গাড়িতে ওঠার এবং নামার সময় শতভাগ এস্তেগফার করেছি। যা বলেছি আল্লাহর হয়তো অপছন্দ হতে পারে। তারপরও তিনি যেন মেহেরবানি করে মাফ করে দেন।’
আরও পড়ুন: যারা দেশ ছাড়তে ভয় দেখায়, তারাই দেশ ছাড়ে: ড. মাসুদ
তিনি কিছুটা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘ভুল তো আমাদের হবেই। কিন্তু সেটা শুধরে না দিয়ে মার্কেটিং করে আমাদের শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করলে সেই জবাব আমাদের সবাইকে মিলে দিতে হবে।’
অন্যদিকে চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ’র সঙ্গে টকশোতে জামায়াত আমিরের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বেজায় চটে যান জামায়াত নেতা মাসুদ। জামায়াত আমিরের দেওয়া বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে সহ-আলোচককে তুলোধুনো করেন তিনি। যা নিয়ে তাকে বেশ সমালোচনা সইতে হয়েছে।
বিইউ/জেবি

