রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

উপদেষ্টাদের সততার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে: মির্জা ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩৪ এএম

শেয়ার করুন:

Fakhrul
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সততার ওপরের বিএনপির পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের পক্ষে এই অভিমত দেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে একটি পত্রিকায় একজন সাবেক সচিবকে (নাম উল্লেখ না করে) কোড করে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, উনি বলেছেন, আটজন অ্যাডভাইজার নাকি করাপশনের সঙ্গে জড়িত। আমি বলতে চাই, হুইচ ইজ নট আওয়ার্স। এটার সঙ্গে আমাদের (বিএনপি) কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ এই অন্তর্বর্তী সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অত্যন্ত সন্মান করি এবং তাদের ওপরে আস্থা, তাদের ইন্টিগ্রেটির ওপরে আমরা আস্থা রাখি।’

আরও পড়ুন: সরকারের ৮ উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ প্রমাণ আছে: আব্দুস সাত্তার

প্রথম আলোসহ কয়েকটি পত্রিকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের বরাত দিয়ে আট উপদেষ্টা নিয়ে বক্তব্য এসেছে।

এই বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি শুনেছি একজন সাবেক সচিব, যদি উনি দিয়ে এই ধরনের কথা বলে থাকেন, সেটা উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নাই।’


বিজ্ঞাপন


তিনি লিখেছেন, ‘আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ওই বক্তব্যের দায় সম্পূর্ণভাবে উনার নিজের। দলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’

এর আগে শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের এক সেমিনারে আট উপদেষ্টার বিষয়ে অভিযোগ তোলেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি আব্দুস সাত্তার। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। 

আরও পড়ুন: ভুল সংবাদের প্রতিবাদ বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের

যদিও সাত্তার উপদেষ্টাদের নাম বলেননি। তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’

উদাহরণ দিয়ে সাত্তার বলেন, ‘একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে, তবু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘নূরজাহান বেগমের মতো ব্যক্তির কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চালানো উচিত? কিংবা অভিজ্ঞতা ছাড়াই স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া—এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যৌক্তিক কি না?’

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে রয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী তিনি। 

বিইউ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর