যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে তারা কোনোভাবেই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব।
তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) হাতিরঝিল থানাধীন ৩৬ নং ওয়ার্ডের সোনালিবাগ ইউনিট বিএনপি আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই উপহার দেওয়া হচ্ছে।
নীরব বলেন, কেউ কেউ বলছেন জুলাই বিপ্লবে তারা একাই করেছেন। আর কেউ ছিল না। এগুলো ৭১-সালের পরাজিত শক্তির বক্তব্য। বিএনপি ও ছাত্রদলই এ আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল। ৭১-এর কৃতিত্ব যেভাবে হাসিনা এককভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, একই কায়দায় কেউ কেউ নিজ কৃতিত্ব জাহির করার অপচেষ্টা করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে নীরব বলেন, আপনারা সংস্কার চাচ্ছেন গত ৫ আগস্টের পরে। আর বিএনপি সংস্কার চেয়েছে ১৩ জুলাই ২০২৩ সালে। প্রায় দুই বছর আগেই আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ পালিয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। ভোটাধিকার হরণ করে, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি এমন কোন অপকর্ম নেই যে আওয়ামী লীগ করেনি। স্বৈরাচারী দলকে হটিয়ে দীর্ঘদিনের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। নতুন করে এক স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজগুলো আমাদের করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ছাত্র-জনতা, শ্রমিকরা প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী পতনের আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার সুস্থতা ও সকল শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এর আগে শেরে বাংলা থানা বিএনপি আয়োজিত বিএনপি'র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করেন নীরব।
এ সময় শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিইউ/এমআর