জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা জিয়াউর রহমানের নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল এমনকি বাচ্চাদের পাঠ্যবই থেকেও মুছে ফেলেছিল। জিয়া বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে বিরাজ করছে। তাকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবেনা।
বুধবার (২৬ মার্চ) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সাইফুল আলম নীরব বলেন, অনেকেই বলেন ৭মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। যদি তাই হয় তাহলে তো তখন থেকেই যুদ্ধ শুরু হওয়ার কথা, কিন্তু তা হয়নি। বরং ৭ মার্চের পর শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির আলোচনা করছিলেন। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি বাহিনী বাঙ্গালির ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল তখনও ৫ আগস্টের মতো আওয়ামীলীগ পালিয়েছিল। তখন বাঙ্গালী যখন যা পাড়ছে তাই নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তখন একটা কথা ভেসে আসলো, আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। তখন মানুষ বুঝল আমরা একা না, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের সাথে আছে। সে সময়ে জিয়াউর রহমান ক্যাম্পে বসে যুদ্ধের পরিকল্পনাও করতেন, যুদ্ধেও যেতেন। তখন থেকেই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের আস্থার নাম হয়ে ওঠে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জিয়া পরিবারই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর এই জাতির ওপরে নির্যাতন চালিয়েছে। তারা হত্যা করেছে, গুম-খুন করেছে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই অবস্থান থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে অতি দ্রুত নির্বাচন দেবে।
এসময় তিনি বিএনপি, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বিইউ/এমএইচটি