মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে এবি পার্টির নেতাকর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে এই শ্রদ্ধা জানান।
বিজ্ঞাপন
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, চব্বিশের আকাঙক্ষা ছিল সাম্যের পক্ষে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। ঠিক যে কারণে একাত্তরে আমাদের যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করতে হয়েছে।
‘৭১ এর যুদ্ধ ছিল স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াই। আর চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল সেই মুক্তির অন্তরায়গুলো দূরীকরণের সংগ্রাম। সেজন্য এই গণঅভ্যুত্থানকে বাংলাদেশ ২.০ বলা হচ্ছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ র মুক্তিযুদ্ধ এক নয় তবে উভয়ের মধ্যে অপরুপ মিল রয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই হানাদারেরা নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে এবং তারপরই মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে।’ বলেন তিনি।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ৭১ সালে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, কিন্তু চব্বিশের হানাদাররা আত্মসমর্পণ না করে হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়ে গেছে।
দেশকে স্থিতিশীল রাখা বড় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামনের বাংলাদেশে বিচারের চ্যালেঞ্জ, সংস্কারের চ্যালেঞ্জ তার চেয়েও বড়ো চ্যালেঞ্জ দেশটাকে স্থিতিশীল রাখা। এতসব চ্যালেঞ্জ থাকলেও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা মুক্তির মঞ্জিলে পৌঁছানো সম্ভব।
বিজ্ঞাপন
মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, ‘যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান অপরিহার্য হয়ে পরে। যে প্রত্যাশা তরুণরা সৃষ্টি করেছে সেটি নিভে যাওয়ার মতো নয়। সংস্কারবিহীন নির্বাচন অর্থবহ হবে না।
এ সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব:) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব:) হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্বাস ইসলাম খান নোমান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী চৌধুরী, ছাত্রপক্ষের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, সহঃ কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহঃ দফতর সম্পাদক শরন চৌধুরী, সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান ব্যাপারী, সহ-অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, পল্টন থানা আহ্বায়ক আবদুল কাদের মুন্সী, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ রাসেল, যুবনেতা ইমরান হোসেন শিবলু, যুবনেত্রী ইশরাত জাহান লীজাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এমআর