বিএনপির বর্ধিত সভায় সারাদেশ থেকে তিন হাজারের বেশি নেতা অংশ নিয়েছেন। ২০১৮ সালের পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই আয়োজনে অনেকেই বক্তব্য রাখার আগ্রহ পোষণ করছেন। তবে সময় স্বল্পতা এবং আগ্রহী অনেক বেশি হওয়ায় বক্তব্য দিতে ভিন্নধর্মী আয়োজন করেছে বিএনপি। আগ্রহীদের থেকে নাম জমা রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হবে কারা বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলসংলগ্ন মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে বক্তব্য দেবেন তিনি।
তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ছয় স্তরের সাড়ে তিন হাজারের বেশি নেতারা এই বর্ধিত সভায় অংশ নিয়েছেন। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব কর্মকর্তা ও সদস্যরা, সব মহানগর, জেলা, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা রয়েছেন।
এর বাইরেও বিএনপির ১১টি অঙ্গসহযোগী সংগঠনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবরা উপস্থিত রয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সেসব নেতারাও অংশ নিয়েছেন। সাবেক সংসদ সদস্যরাও অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
দেখা গেছে, মঞ্চের ডান পাশে টেবিলে কাচের জার রাখা হয়েছে। যাতে প্রত্যেক বিভাগের নাম লিখে রাখা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য দিতে আগ্রহী নেতারা নাম জমা দিচ্ছেন। পরে লটারি করে ভাগ্যবানরা বক্তব্য দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ‘লা মেরিডিয়ানে’ বর্ধিত কমিটির সভা হয় যেখানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন। এর চার দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাবরণ করেন তিনি।
বিইউ/এমএইচটি