শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বিগত সরকার কখনো পুঁজিবাজারকে ধারণ করেনি: খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বিগত সরকার কখনো পুঁজিবাজারকে ধারণ করেনি: খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গত সরকার কখনো পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দেয়নি এবং পুঁজিবাজারের গুরুত্ব ও তার অর্থনীতিতে অবদান সম্পর্কে কোনো সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়নি। তিনি উল্লেখ করেন, পুঁজিবাজার যে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে তৎকালীন সরকার। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থনীতি চালানোর যে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, সেটি তারা কখনো বোঝেনি। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনে ডিএসই ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম।


বিজ্ঞাপন


আমীর খসরু বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আগামীতে যদি একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে এবং আমরা সে সুযোগ পাই, তবে আমরা পুঁজিবাজারকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেব। যদি পুঁজিবাজার স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়, তবে সাধারণ মানুষও এতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। তারা তাদের পরিবারের ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবে এই বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউজে শিক্ষিত যুবকদের জন্য বড় ধরনের চাকরির সুযোগ রয়েছে।’

তিনি জানান, ‘আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনা হয়েছে এবং আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রণমুক্তকরণে সিরিয়াসভাবে গুরুত্ব দিতে চাই। নিয়ন্ত্রণমুক্তকরণ ছাড়া পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব নয়। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত নিজেদের স্বতন্ত্রভাবে কাজ করা।’

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘যারা পুঁজিবাজারে দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে তারা আবারো পুঁজিবাজারে এমন কার্যক্রম চালাবে। কারণ, টাকা তো সবসময়ই প্রাধান্য পায়। তাদের লুটপাটের কারণে অনেক মানুষ আত্মহত্যা করেছে এবং অনেকেই নিঃস্ব হয়েছে। তাই তাদের আইনের আওতায় আনতে ডিবিএকেও ভূমিকা রাখতে হবে।’


বিজ্ঞাপন


তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘বিএসইসিতে (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) সরকারের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, এমনটাই তাদের কাজের পদ্ধতি হওয়া উচিত। গত সময়ে বিএসইসি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়ে কাজ করেছে, কমিশন হিসেবে নয়। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দোষ দিতে চাই না, কারণ এটা তাদের কাজের মধ্যে পড়েনি। তারা শুধু একটি রাজনৈতিক দলের কাছে সবকিছু হস্তান্তর করেছে, এটি তাদের দায়িত্ব ছিল।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি, ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা, ডিবিএ সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী প্রমুখ।

এমই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর