কোটা সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই-আগস্ট গণহত্যার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দায়ী করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত তার দলের নেতাকর্মীদের যথাযথ বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের নেতৃত্বে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ছাত্রদল।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সকাল ১০টা থেকেই শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচির শুরুতে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মো. আমানুল্লাহ আমান, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।
কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যা, ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব, শাপলা চত্ত্বরে রাতের অন্ধকারে অসংখ্য নিরীহ আলেম ও মাদরাসা ছাত্র হত্যা, গত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে দানবে পরিণত করার মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নৃশংসতার মূলহোতা পলাতক খুনি হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের যথাযথ বিচারের দাবিতে আজ আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বিজ্ঞাপন
সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, কোটা আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছে। আমাদের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা সব ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার দাবি করছি। গত ১৫-১৬ বছরের সকল হত্যাকাণ্ডের, গুম, খুন নির্যাতনের বিচার দাবি করছি। আমরা চাই না নিরপরাধ আওয়ামী লীগের নেতা শাস্তি পাক। আমরা চাই সত্যিকারের অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসুক।
এমএইচএম