দুপুর তখন সাড়ে ১২টা। ধানমন্ডি ৩২ এর ভাষা সৈনিক সুফিয়া বেগম সড়ক। এই সড়কের মাথায় মাস্টার মাইন্ড স্কুল। সেই পথ ধরে আসছিলেন যুবলীগের দুই নেত্রী। এ সময় ছাত্র-জনতার কয়েকজন তাদের ধরে ফেলে। প্রথমে তারা পরিচয় লুকিয়ে সাধারণ মানুষ পরিচয় দেয়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকজন নারী সদস্যদের দিয়ে তাদের মোবাইল ফোন চেক করান। এরপর বুঝতে বাকি থাকে না তারা আওয়ামী যুবলীগের নেত্রী। এ সময় তারা রোষানলে পড়েন। পরে পাশে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটে আসেন এবং তাদের হেফাজতে নেন।
বুধবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরে তাদের কোথায় রাখা হয়েছে তাও জানা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ওই দুই নেত্রী পরিচয় গোপন করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পূর্ব দিকের সড়কে থাকা ছাত্র-জনতা তাদের মতিগতি বুঝতে পারেন। এরপর তারা অবস্থা বেগতিক দেখে সুফিয়া বেগম সড়ক ধরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার আগে ছাত্রদের মাঝে খবর আসে যুবলীগের দুই নেত্রী পালিয়ে যাচ্ছেন। ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে থাকা ছাত্র-জনতা এ সময় তাদের আটক করে। ছাত্র-জনতার হাতে আটক হওয়ার পর তারা নিজেদের সাধারণ মানুষ বলে দাবি করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কয়েকজন নারী সদস্যদের দিয়ে তাদের ফোন চেক করান। এরপর তাদের মোবাইল ফোনে আওয়ামী যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি এবং সেলফি দেখতে পান তারা। এরপর রোষানলে পড়েন এই দুই নেত্রী। এ সময় ছাত্রদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা বাধে। পাশেই ছিল সেনাবাহিনীর টহলকারী দলের সদস্যরা। তারা এমন চিত্র দেখে ছুটে আসেন। এরপর তাদের ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে রক্ষা করেন এবং নিয়ে চলে যান।
এ সময় এক ছাত্র বলছিলেন, গত ১৮ বছর ছাত্র-জনতার ওপরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নির্যাতন চালিয়েছে। প্রকৃতির কি খেলা! এখন তাদের মোবাইল ফোন চেক করছে সাধারণ মানুষ। অথচ এক সপ্তাহ আগেও আন্দোলনকারীদের নানাভাবে মারধর, তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া আর ট্যাগ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছিল তারা। ফলে আজ ছাত্র-জনতা তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ।
পাশ থেকে আরেকজন বলছিলেন, আমি আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের হাতে এক ঘণ্টা মার খেয়েছি। আমরা তো তাদের মারছি না। এতেই তাদের যে অবস্থা!
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/এমএইচএম