সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘একটু সময় লাগবে, নেত্রীর কথার বাইরে কেউ যাবে না’

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

‘একটু সময় লাগবে, নেত্রীর কথার বাইরে কেউ যাবে না’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ, যা দলটির তৃণমূলে বড় প্রভাব ফেলে৷ দলীয় কোন্দল মেটাতে তখন সাংগঠনিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল৷ সবমিলিয়ে দলটির তৃণমূলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়। সেই নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই উপজেলা নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে। আর সেখানেও নতুন চমক দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এবার স্থানীয় সরকার পর্যায়ের এই নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীকও তুলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

দলের এমন সিদ্ধান্তে পক্ষে-বিপক্ষে দুই রকম মতই এসেছে তৃণমূল থেকে। এক অংশ আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। আরেক পক্ষের মত, প্রতীক তুলে নেওয়ায় তৃণমূলে বিশৃঙ্খলার শঙ্কা আছে৷


বিজ্ঞাপন


তবে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য— উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনে যেন কোনো সংঘাত না হয় এবং বিগত জাতীয় নির্বাচনের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে তা নিশ্চিত করা।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের গণভবনে ডেকে পাঠান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। বিশেষ এই বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না।

আওয়ামী লীগ সভাপতির বক্তব্যের পর তৃণমূলকে আরেক বার্তা দেন দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেছেন, নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই কাজ করবেন। যে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব ভুলে যেতে হবে। এই বিজয় নস্যাৎ করার জন্য শত্রুরা কিন্তু তৎপর। শত্রুদের হাতে হাতিয়ার তুলে দেবেন না আমাদের ক্ষতি করার জন্য। আওয়ামী লীগ নিজেরাই যদি নিজেদের শত্রু হয় বাইরের শত্রুর কোনো দরকার নেই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অনেকে অনেক কিছু ভাবছেন— অমুকরা এখন কোত্থেকে আসছে, কে আবার জুড়ে আসছে। উড়ে এসে জুড়ে বসা লোক আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হবে না।

আরও পড়ুন

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে বিএনপি?
উপজেলা নির্বাচনে কোনো সংঘাত চাই না: প্রধানমন্ত্রী

দলের দুই শীর্ষ নেতার বক্তব্য শুনে শনিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে গণভবন থেকে সবার আগে বের হন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। এরপর একে একে বাকিরা বেরিয়ে আসেন।

দলের সিদ্ধান্ত তৃণমূলে কতটা গুরুত্ব পাবে? আসলেই তৃণমূল এ বিষয়গুলো মানবে কিনা, তা জানতে চাইলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলার কথাই জানিয়েছেন স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর ঢাকা মেইলকে বলেন, এক্ষেত্রে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হবে৷ এটা না হলে তো হয় না।

আরও পড়ুন

উপজেলায় ভোট হবে চার ধাপে, ৪ মে শুরু
সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন ভালো হবে: ইসি আলমগীর

সংঘাতের কোনো শঙ্কা স্থানীয় পর্যায়ে থাকছে কিনা জানতে চাইলে এই পৌর মেয়র বলেন, না, কিছুই হবে না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব নাবিলা রোকসানা ছন্দা ঢাকা মেইলকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন যেন কোনো সহিংসতা না হয়।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কথাও নেত্রী বলেছেন, সেখানে দলীয় প্রার্থী ছিল, পাশাপাশি আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল। সেখানে আমরা মিলেমিশে কাজ করেছি। এখানেও যেন কোনো সহিংসতা না হয়।

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস তুহিন রেজা মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘোষণার পর দলের ৮০ শতাংশ কর্মীই শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।

ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, এক জায়গায় কেটে গেলে এটা তো সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয় না। একটু সময় লাগে৷ কিন্তু ঠিক হয়। এই বিষয়টাও এমন। নেত্রীর কথার সঙ্গে সঙ্গেই ৮০ শতাংশ লোক এটা মেনে নিয়েছেন। বাকি ২০ শতাংশও মানবে৷ একটু সময় লাগবে৷ নেত্রীর কথার বাইরে কেউ যাবে না।

কারই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর