বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

দেশের মানুষ ভালোর ভালো, খারাপের খারাপ: গয়েশ্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০ পিএম

শেয়ার করুন:

দেশের মানুষ ভালোর ভালো, খারাপের খারাপ: গয়েশ্বর
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার নাকি সংসদে বসবে। ভালো কথা বসেন। তবে আপনাদের কাজ আপনারা করেন। আমাদেরটা আমাদের করতে দেন। 

তিনি বলেন, আজকে কোথাও আমাদের কালো পতাকা মিছিল করতে দেননি। দেশের মানুষ কিন্তু ভালোর ভালো, খারাপের খারাপ। সুতরাং মানুষের প্রতিবাদের ভাষা বোঝেন। পুলিশের লাঠি দিয়ে জনগণকে বেশি দিন দমিয়ে রাখতে পারবেন না। আমরা শান্তিপ্রিয় মায়ের শান্ত ছেলে তবু শত্রু  এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি। ৭১ সালে তার প্রমাণ।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী পেশাজীবী ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ডামি সংসদ বাতিল এবং একদফা দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের জনগণ তো এই সরকারের বিরুদ্ধে লাল পতাকা ও কালো পতাকা প্রদর্শন করছে। তারা কিন্তু এই সরকারের পক্ষে কিছু বলছে না। সুতরাং লাজ-লজ্জা-ভয় এই তিন নয় তারাই সংসদে বসতে পারে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু একা নয়, কিছু দেশ, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে একটা সিন্ডিকেট দেশের ১৮ কোটি মানুষের ক্ষমতা হরণ করেছে। এই সরকারকে বলা যায় কর্তৃত্ববাদী। এই সরকারের ভাষা কখনও জনগণের জন্য হয়না। তাদের মায়া-মমতা থাকেনা। তাদের লক্ষ্য থাকে দেশের অর্থনীতি লুটপাট করা। তাদের সঙ্গে পার্টনার থাকে পুলিশ প্রশাসন। আজকে সরকার তার প্রশাসনের লোকজনকেও দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে। তারা কেউ দুর্নীতি না করলে চাকরি যায়।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

বর্তমান সংসদে ‘নামে-বেনামে-ছদ্মনামে’ সবাই আ.লীগের লোক: রিজভী

তিনি আরও বলেন, আজকে উন্নয়নের অপর নাম দুর্নীতি। তারা উন্নয়ন না করে বিদেশে টাকা পাচার করে। দেশে কোনো কর্মসংস্থান নেই। বেকারত্ব বাড়ছে। এভাবে বেকারত্ব বাড়লে তরুণদের ক্ষুধাও কিন্তু বাড়ে। এই সরকারকে সরাতে আমাদের লড়াই চলছে এবং চলবে। হয়তো কৌশল ভিন্ন হয়। বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং করবে। আমরা তো ১৭৩ দিন হরতাল এবং বাসে গানপাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে হত্যা করে নাচগান করার রেকর্ড করতে পারিনি। এই ঐতিহ্য তো তাদের মানায় যাদের ডান হাত আর বাম হাত একই।

গয়েশ্বর বলেন, আজকে দেশে দ্রব্যমূল্যের কি অবস্থা? জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু সরকার চায় কেবলমাত্র ক্ষমতা। টাকা পাচার বেড়েছে। তাহলে এসবের জবাব দেবে কে?

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দেশের ৭ শতাংশ লোক সরকারকে নাকি ভোট দিয়েছে। তাহলে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে। তাদেরকে চাননা। তাছাড়া ওই ৭ শতাংশ লোক হলো সরকারের সুবিধাভোগী। যাদেরকে কার্ড দিয়ে আবার তা জব্দ রেখেছে। এটাতো সমকামী নির্বাচন। শেখ হাসিনা ৭ পার্সেন্ট লোকের প্রধানমন্ত্রী আর তারেক রহমান ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতা এটা প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, আজকে টাকার ও ক্ষমতার লোভে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দেননি। তারা নাকি প্রাধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। তাহলে একই ঘটনার মামলায় শাহজাহান ওমর জামিন পেয়ে নৌকার এমপি হলেন কীভাবে? তাহলে তো বোঝা যায় যে এটা সাজানো ও পরিকল্পিত ঘটনা। এখানেই বোঝা যায় এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এরা ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার। চীন ও রাশিয়ায় তো নির্বাচন হয়না।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের কোনো পেশার মানুষ আজ নিরাপদ নয়। এখানে কেউ ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিবাদ করতে পারেনা। কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। অনেক নেতাকর্মী ও পেশাজীবী নেতাদের গ্রেফতার করে কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। ৫৫ টাকার চিনি কিনতে হচ্ছে দেড়শো টাকার বেশি দামে। তেল, ডাল, চাল সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। দেশের বর্তমান শাসন অতীতের ইয়াহিয়া এবং আইয়ুব খানের আমলকেও ছাড়িয়ে গেছে। 

বিইউ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর