শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বর্তমান সংসদে ‘নামে-বেনামে-ছদ্মনামে’ সবাই আ.লীগের লোক: রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

বর্তমান সংসদে ‘নামে-বেনামে-ছদ্মনামে’ সবাই আ.লীগের লোক: রিজভী

দ্বাদশ সংসদ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে- এমন দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সংসদ জনগণের নয়, আমরা আর মামুদের। নামে—বেনামে—ছদ্মনামে সবাই আওয়ামী লীগের লোক। 

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


নির্বাচনের কথা তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এককভাবেই লুটেছে ২২৩টি আসন। ৬২ জন স্বতন্ত্র ডামি এমপির ৫৮ জনই আওয়ামী লীগের নেতা। সেই হিসাবে, ২৯৯ জনের মধ্যে ২৮০ জনই মূলত আওয়ামী লীগ নেতা। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি শেখ হাসিনার আশীর্বাদের বিরোধী দল। এদেরও লালন-পালন করেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দয়া করে ১১ আসন ছেড়ে দিয়েছেন তাদের জন্য।

তিনি বলেন, জনগণের ভোট বর্জিত ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বাকশালীয় সংসদের কলঙ্কিত যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ। পৃথিবীতে অদ্ভুত সরকারের অভিনব কিসিমের অদ্ভুত এক এই সংসদের সকল সদস্যই এক দলের। বিরোধীদল কারা হবে, তারা কে কি বলবে—করবে, স্বতন্ত্র লীগের ভূমিকা কি হবে সবকিছুই পুতুল খেলার মতো সুতার গোড়া ধরে রাখবেন একজন। 

রিজভী আরও বলেন, ডামি নির্বাচনের পর একটি অবৈধ সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় ডামি শপথে অবৈধভাবে জন্মগ্রহণ করা এই আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ, নাৎসীবাদ ও মধ্যযুগের ভাবধারায় পুষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। অবৈধ আওয়ামী সরকার এক সর্বনাশা বিভিষিকা সঞ্চার করে নতুন নতুন অশুভ পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণকে বঞ্চিত করে ক্ষমতা ধরে রাখছে। এবারও তারা সাড়ে ১২ কোটি ভোটারদের বঞ্চিত করার মনুষ্যত্বহীন চক্রান্ত করেছে। আওয়ামী লীগ যে বরাবরই গণতন্ত্রের শত্রু  সেটির কুৎসিত স্বরূপ এবারও উন্মোচিত হয়েছে। 

আরও পড়ুন

সংসদ শুরুর এক ঘণ্টা আগে ঢাকায় ‘কালো পতাকা’ মিছিল করবে বিএনপি

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন অপরাধপ্রবণ একটি রাজনৈতিক দল। জনগণের ইচ্ছ—অনিচ্ছা এদের কাছে মূল্যহীন। আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা মানবিক পরিবেশের মূল থেকে উৎসারিত নয়। এজন্য বহু মত ও পথকে তারা সহ্য করতে পারে না। সেজন্য সুষ্ঠু নির্বাচনকে আড়াল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। 

রিজভী আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের টিকে থাকার প্রধান ভিত্তি জনসমর্থন। আওয়ামী লীগের জনভিত্তি ধ্বসে গেছে, সেই কারণে তাদের নেতারা আবোল—তাবোল কথা বলে। ওবায়দুল কাদের ও হাসান মাহমুদ সাহেবদের কথাবার্তার কোনো মূল্য নেই জনগণের কাছে। হিটলার—মুসোলিনির অনুসারীরা যেভাবে কথা বলত এরাও সেভাবে কথা বলছে। 

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ছিল তারেক রহমানের 'লিফলেট বনাম শেখ হাসিনার ডামি ব্যালটে'র' লড়াই। দেশের ৯৫ ভাগেরও বেশি ভোটার শেখ হাসিনার কথিত 'ব্যালট' বর্জন করে 'লিফলেট' গ্রহণ করেছে। এটি গণতন্ত্রকামী জনগণের বিজয়। এটি গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দলের বিজয়। গণতন্ত্রকামী জনগণের বিজয় ঠেকাতে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এরা সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে নির্বিকার ও নিবিষ্টচিত্তে। হিংসা, হানাহানি আর অশান্তি মূল আদর্শ হিসেবে গণ্য করে আওয়ামী নেতারা। 

আগামী দিনে আন্দোলনের কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরোধী দলের হাজার হাজার রাজবন্দীর মুক্তি চেয়েছে। আমরা অবৈধ পার্লামেন্ট বাতিল করে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের লুন্ঠিত ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সফল করতে কৃতসংকল্প।

বিইউ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর