দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) অংশগ্রহণ নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। যদিও সব নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে ভোটের লড়াই ছিলো জাতীয় পার্টি।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যনুযায়ী, ২৬৫টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে, ভোটের আগে দলটির ১৯ প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, দলটির প্রার্থী থাকা ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৬টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ছাড় পেয়েছিলো জাতীয় পার্টি। সেসব আসনে ছিলো না নৌকার কোনো প্রার্থী। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধীতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। যদিও এসব আসনের কোনোটিতেই জিততে পারেনি তারা।
অন্যদিকে, ছাড় পাওয়া ২৬টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয় পেয়েছেন লাঙ্গলের প্রার্থীরা। যা অর্ধেকের চেয়েও কম। আওয়ামী লীগের ছাড় পেয়েও ১৫টি আসনে জিততে পারেনি জাপার প্রার্থী।
বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, রংপুর-৩ আসনে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কিশোরগঞ্জ-৩-এ মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, চট্টগ্রাম-৫ আসনে কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং পটুয়াখালী-১ আসনে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ঠাকুরগাঁও-৩), গোলাম কিবরিয়া (বরিশাল-৩), এ কে এম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫), মো. আশরাফুজ্জামান (সাতক্ষীরা-২), এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১) ও শরিফুল ইসলাম (বগুড়া-২) থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় ঢাকা-১৮ আসনটি পায় জাতীয় পার্টি। এই আসনে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের লাঙ্গল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরীর কাছে হেরে জামানত হারিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও নীলফামারী-৩ আসনে জাতীয় পাটির প্রার্থী মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে আব্দুর রশিদ সরকার, বগুড়া-৩ আসনে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার, পিরোজপুর-৩ আসনে মাশরেকুল ইসলাম আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, হবিগঞ্জ-১ আসনে এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনে সোলায়মান আলম জিততে পারেননি।
উল্লেখ্য, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টি। ২০১৪ সালের ভোটে দলটি ৩৩টি আসন পেয়েছিলো।
এমএইচএম