দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে একদিন আগেই। রাত পোহালেই ভোট। শেষ মুহুর্তে প্রচারণা বন্ধ থাকলেও ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে চেষ্টার কমতি নেই আওয়ামী লীগের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মতো বড় একটি দল অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ খোদ আওয়ামী লীগ। বিষয়টি অনেকটাই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ভোটারদের মাঝে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর চায়ের দোকানের আড্ডায় এখন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ভোট। আলোচনা রয়েছে ভোটের দিন ভোটার উপস্থিতি কতটা হবে তা নিয়ে। শুধু চায়ের দোকান নয়, একই আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনেও।
আরও পড়ুন
এরই মধ্যে ভোটের প্রচার-প্রচারণার সময় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ভোটাররা উপস্থিত না হলে তাদের বিরুদ্ধে হুমকিমূলক বেশ কিছু বক্তব্যও দিয়েছেন। টাকা বিলি করতেও দেখা গেছে একজন প্রার্থীকে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওই প্রার্থীকে শোকজও করা হয়েছে।
এদিকে ভোটের বিপক্ষে অবস্থা নেওয়া বিএনপি বলছে, ভোটের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে যাবেন না। ভোট বর্জন করতে এরই মধ্যে দলটির হাইকমান্ডের যে সকল নেতা জেলের বাইরে আছেন, তারা লিফলেট বিতরণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির সমমনা দলগুলোও বলছে, ভোটাররা ভোটের দিন কেন্দ্রে যাবেন না।
অপরদিকে ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে চেষ্টার কমতি নেই আওয়ামী লীগের।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেছেন, কেন্দ্রে আনার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। সব সময় দেখা যায়, ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, কেন্দ্রে আনায় নেতাকর্মীদের টিম আছে। তারা সে কাজ করবে। বেশির ভাগ ভোটার স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসবে। বিএনপির হরতাল-অবরোধ কয়েকদিন আগেও অমরা দেখলাম। হরতালের দিন ঢাকা শহরে যানজট আরও বেশি।
ভোটারদের প্রতি সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে ও অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহীত করতে আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে গুজব ছড়িয়েছে, যে সকল ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন না, তাদের টিসিবি কার্ড বাতিল করা হবে। তবে এ সংক্রান্ত দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে ভোটারদের সঙ্গে কোনো ধরণের জোর প্রয়োগের নির্দেশ নেই। বরং যদি কেউ আবেগের বসে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো ভোটারের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও নির্দেশনা আছে।
ভোটারদের কেন্দ্রে আনার জন্য সকাল থেকেই রিকশার ব্যবস্থা থাকবে। কোথাও কোথাও ভোটারদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হচ্ছে।
এছাড়া মাঠের প্রচারণা শেষে সকলেই সম্মিলিতভাবে নেমেছেন ভার্চুয়াল প্রচারণায়। বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহার করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রের দিকে বেশি আহ্বান করা হচ্ছে।
কারই/এমএইচএম