ভোটের মাত্র কয়েক দিন আগে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের মধ্য থেকে যারা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ভোট বর্জন করলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সম্মিলিতভাবে করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুরের পানবাজার মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
গত তিন দিনে লাঙ্গল প্রতীকের অন্তত ১০ জন প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটি ২০ জনের বেশি। এ ব্যাপারে দলীয় অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশের বিষয়ে সরকার কথা না রাখলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে এককভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। যারা নেবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুরের মানুষ লাঙ্গলকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে, কারণ আমি রংপুরের মানুষ। এখানে আমার শৈশব, কৈশর ও যৌবন কেটেছে।
জয়ী হলে রংপুরের উন্নয়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি এলাকার ভোটারদের কথা সংসদ এবং সংসদের বাইরে তুলে ধরবেন বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলা উদ্দিন মিয়া ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু।
এদিকে দলীয় প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জে অবস্থান করা জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও কথা বলেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের টাকা খরচের বিষয়টিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বড় কারণ হিসেবে দেখছেন তিনি। জাপা মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সারাদেশে প্রচুর টাকা খরচ করছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে জাতীয় পার্টির কিছু কিছু প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
দলীয়ভাবে প্রার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিতে না পারার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশে জাতীয় পার্টি অনেক প্রার্থী দিয়েছে। তাদের সবার অবস্থা সমান নয়। নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রচুর টাকা খরচ করছেন। আমরা কেন্দ্র থেকে প্রার্থীদের কোনো আর্থিক সাপোর্ট দিতে পারছি না। এজন্যই হয়তো তাদের মধ্যে হতাশা আছে এবং এজন্য অনেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আসা কেন্দ্রীয় সমন্বহীনতার বিষয়টি উড়িয়ে দেননি জাপা মহাসচিব। তিনি বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান নিজের এলাকায়। আমিও নির্বাচন নিয়ে এলাকায় ব্যস্ত আছি। তাই বিষয়টি সমন্বয় করতে পারছি না। তবে নির্বাচনের পরিবেশ এখনো ঠিক রয়েছে। আমরা সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি।
জেবি