জোর-জবরদস্তি করে নয়, জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবার বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কোনো ষড়যন্ত্রই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরাট উপজেলার ধানশিড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চাই। জোর করে নির্বাচিত হতে চাই না।’
সরকারের সামনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প ছিল না জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র বাঁচাতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন আসে। নির্বাচন না হলে সংবিধান থাকবে না। সংবিধান না থাকলে গণতন্ত্রের শত্রুরা সুযোগ পাবে।’
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা জানে নির্বাচন করে শেখ হাসিনাকে হঠাতে পারবে না। তাই তারা চোরাগুপ্তা হামলা করে প্রয়োজনে কিছু লোককে লাশ করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়।’
এ সময় তিনি উপস্থিত জনতাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে ওয়াদা করান। তিনি বলেন, আপনারা শেখ হাসিনার জন্য আছেন? হাত তুলে দেখান। ৭ জানুয়ারি দলে দলে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ খান সোহেল, নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বছরের শেষ দিন রোববার দিনভর নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালান। সকালে তিনি কবিরহাটের চাপরাশিরহাট বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ক্লাবে আয়োজিত এক পথসভায় ভাষণ দেন।
এছাড়া মন্ত্রী বিকেলে আব্দুল্লাহ মিয়ারহাট, কালামুন্সি বাজার, ভূইয়ারহাটের ভাটইয়া ইউনিয়নে এক অংশে গণসংযোগ করবেন বলে জানা গেছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী আসন নোয়াখালী-৫। তিনি ২০০৮ সাল থেকে এই আসনের টানা সংসদ সদস্য। এবারও তিনি এই আসনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করায় এই আসনে তার বিপরীতে শক্ত কোনো প্রার্থী নেই।
ওবায়দুল কাদেরের আসনে অন্য যে দলের প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ (লাঙ্গল), জাসদের মোহাম্মদ মকছুদের রহমান (মশাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা (চেয়ার), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাকিল মাহমুদ চৌধুরী (ছড়ি)।
প্রতিনিধি/জেবি