বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ডাকে সাড়া দিলে ব্যবসায়ীদের ‘আম-ছালা’ দুটোই যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাকার বিষয় তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্স না দিলে জেলে যেতে হবে। বিদ্যুৎ-পানিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল না দিলে লাইন কাটা হবে। খাজনা না দিলে শাস্তি পেতে হবে। তারেকের ডাকে সাড়া দিলে ব্যবসায়ীদের আমও যাবে, ছালাও যাবে।
বিজ্ঞাপন
তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশে বসে এসব উদ্ভট আন্দোলনে ডাক না দিয়ে রাস্তায় আসুন, মোকাবিলা হবে। বাংলাদেশে খোমিনি স্টাইলে আন্দোলন হবে না, হয় রাজপথে নয় জেলে।’
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপির রাজনীতির পথ আরও সংকুচিত হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে জনগণ তাদের বর্জন করা শুরু করেছে। আর আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে তাদের এখন আর কী করার আছে। বরং এই নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতির পথ আরও সংকুচিত হবে।’
বিজ্ঞাপন
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মান বজায় রেখেই এখানে নির্বাচন হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কোনো সহিংসতা চাই না। আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী এবং তাদের সহযোগী যদি কোনো সহিংসতায় জড়ায়, তাহলে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা তা সমর্থন করি। এছাড়া দলের নেতাকর্মী যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে তাদেরকেও প্রতিযোগী ভাবতে হবে। যারা নির্বাচন বিরোধী সহিংসতা এবং বৈরী আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সংঘাত প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করছে। যেই দোষী প্রমাণিত হবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে। আর নির্বাচন কমিশন যেকোনো বিষয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের কোনো আপত্তি জানানোর নেই। আমরা জানি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু এদেশে আর ওয়ান ইলেভেন হবে না, সেটা সম্ভব নয়।
কারই/এমআর