মানবাধিকার দিবসে ক্ষমতাসীন দলকে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে কাছাকাছি জায়গায় বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়ার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এটা নির্বাচন কমিশনের ন্যায়বিচার হলো কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ সময় গণমাধ্যমের ভূমিকারও সমালোচনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
দলের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বারবার একটা কথা বলি, আমরা অতিরিক্ত কিছু চাই না। দল হিসেবে আমাদের যা প্রাপ্য তাই দিন। আপনারা বিরোধী দলকেও কাভার করুন। সেখানে বাধা দেবার কিছু নেই। অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে একটা কথা বলছি। দক্ষিণ গেটে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশন আমাদের বারণ করেছে। আমরা তাদের কথা সম্মানের সাথে রেখেছি।'
কাদের বলেন, 'কিন্তু প্রেসক্লাবের সামনে কীভাবে দিলেন, আমরা জানি না। আমরা পেলাম না, নির্বাচনের পক্ষের শক্তি, কিন্তু যারা বিরোধী (বিএনপি) তাদের কেন এই অনুমতি দেওয়া হলো? এটা হয় না। নির্বাচনবিরোধীদের এই আশ্রয়, প্রশ্রয়টা কেন দিলেন? তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এটা ন্যায়বিচার হলো?'
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'আপনি আমাকে দিলেন না, আমি নির্বাচন নির্বাচন করছি। আর যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়, তাদের অনুমতি দিলেন। আমি কিছু বলছি না, আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম।'
মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'ইলেকশনে সবাই নমিনেশন পাননি। নমিশনের তো একটা সংখ্যা আছে, বাইরে তো দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে অনেকের দুঃখ আছে। তারপরও নেত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করার। এখানে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না।'
কারই/জেবি