আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত দু-এক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আসন ভাগাভাগির বিষয়ে জোটের সঙ্গে অবশ্যই সমঝোতা হবে। আজকালের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের এ কথা বলেন কাদের।
বিজ্ঞাপন
৭ জানুয়ারিকে ভোটের তারিখ ধরে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এবারের ভোটেও নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের ছয়টি দল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়।
তফসিল ঘোষণার পর জাসদের হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন বাদে ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। এতে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন নৌকার ওপর ভর করে সংসদ সদস্য হওয়া ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতারা। এবার তাদের আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ঘোষণা করায় বেশ বিপাকে আছেন।
শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মাঠে থাকবেন, নাকি কেন্দ্রের নির্দেশে সরে দাঁড়াবেন এমন শঙ্কায় দিন কাটছে শরিক দলগুলোর। এমন শঙ্কার মধ্যে গতকাল শরিকদের নিয়ে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে গতকাল তা জানানো হয়নি। বৈঠকের বিষয় জানতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিজ্ঞাপন
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তাদের আসন পাওয়ার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় নির্বাচন করবে, কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীদের অনেকে তাদের নিজেদের মার্কায় নির্বাচন করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে গতকালের বৈঠকের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিক আলোচনা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা মোকাবিলায় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, '১৪ দলের দাবি থাকতেই পারে। তবে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়দের মূল্যায়ন করবে। নির্বাচনে জেতার মতো প্রার্থীকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।'
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী উপস্থিত ছিলেন।
কারই/এমআর