সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ভোটে যাওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের দুই নেতাকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ভোটে যাওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের দুই নেতাকে অব্যাহতি
পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পর্যালোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত

সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা যেসব ইসলামি দল এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে এর অন্যতম চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দুইজন নেতা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়েছে দলটি।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে একতরফা পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম দক্ষিণের সাবেক সভাপতি মাওলানা শফকত হোসেন চাটগামী ও ইসলামী যুব আন্দোলন কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা ওসমান গণীকে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত ইসলামি দলগুলো 


বিজ্ঞাপন


দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এজন্য সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এই সাত দিনের মধ্যে তারণ দর্শানো না হলে বহিস্কারাদেশ কার্যকর হবে।

‘একতরফা প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মানবে না’

এদিকে শনিবার বিকেলে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান সংকটজনক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়ামের জ্যৈষ্ঠ সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেন, ‘সরকারের একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশবাসী মানবে না।’ একতরফা পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে সরকার।’

আরও পড়ুন

সরকারের পাতানো ফাঁদে আমরা পা দেব না: চরমোনাই পীর 

মাদানী বলেন, ‘এই কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সংকটাপন্ন করে তুলেছে। বিরোধী দলকে দমনের নামে জুলুম নির্যাতন, দমন-পীড়ন করে নাগরিক জীবনকে যন্ত্রণাময় করে তুলেছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমূখ।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর