দুটি বাদে সব আসনে নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই অবস্থায় ১৪ দলীয় জোটের অন্যান্য শরিকদের অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও জোটের সঙ্গে এ ব্যাপারে সমন্বয় করা হবে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
জোট প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছিলাম। সেবারও প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। পরে মহাজোটের মধ্যে সমন্বয় করা হয়েছিল। গতবারও প্রায় সব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল, পরে জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল। এবারও ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি, জোটবদ্ধ নির্বাচন করব। সেটি কিন্তু দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। মনোনয়ন দিলেও জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। কোন জায়গায় কীভাবে হবে সেটি যেহেতু ঠিক করা হয়নি, সে জন্য সব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এবং পরে জোটের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের বাদ পড়াদের প্রসঙ্গে দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২ জন যে বাদ পড়েছে, প্রতি নির্বাচনেই কিছু প্রার্থী বাদ পড়ে। এবার আগে থেকেই বলা হয়েছিল, যারা জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে গেছে বা যারা যেকোনো কারণে বিতর্কিত হয়েছে, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। সেই কারণেই এবার অনেক বেশি প্রার্থী বাদ পড়েছে। বাদ পড়াটা স্বাভাবিক। সেখানে কে মন্ত্রী বা বড় নেতা সেটি বিষয় নয়, জনপ্রিয়তা যার নেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।'
মন্ত্রী বলেন, 'গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দলের পক্ষ থেকে সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নানাভাবে তদন্ত করাচ্ছিলেন। সেই রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করে জনপ্রিয়তার নিরিখে, দলের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে এটি বিবেচনা করা হয়েছে।'
নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এবার বহু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। আজকেও বেশ কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। বহু বিএনপি নেতা তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে কিংবা অন্যান্যভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পদক্ষেপ নিয়েছে, অনেকে ঘোষণা দিয়েছে। জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ হবে বলে আমরা আশা করছি।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিভিন্ন সময় বিবৃতি বিক্রি করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। দেশে যেমন কিছু বিবৃতিজীবী আছে, আন্তর্জাতিকভাবেই কিছু বিবৃতিজীবী আছে। এত যে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, সেটি যখন বিবৃতিতে অনুপস্থিত থাকে, অন্যটাকে মুখ্য করা হয়; এ বিবৃতিজীবীদের নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এটার কোনো গুরুত্ব নেই। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যেমন বিবৃতি দেয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য। গাজায় হত্যাকাণ্ড হলে চুপ থাকে আর বাংলাদেশে কাউকে ঘুসি মারলে বিবৃতি দেয়—এসব বিবৃতি নিয়ে কথা বলতে চাই না। এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই।’
জেবি