আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘তিনি (কাদের) প্রত্যক্ষভাবে বিএনপির জাতীয় নেতাদের হত্যার হুমকি দিয়েছেন।’
রিজভী বলেন, ইরাকে এক মন্ত্রী ছিলেন। নাম আলী। মনে করা হতো বিষাক্ত রাসায়নিক অস্ত্র বানানোর ক্ষেত্রে উনি তত্ত্বাবধান করেছেন। তাই তাকে সবাই ‘কেমিক্যাল আলী’ নামে ডাকত। বাংলাদেশেও একজন ‘ক্যামিকাল কাদেরের’ উদয় হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১০অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে গতকাল সোমবার রাজধানীতে এক সমাবেশে ইউরেনিয়াম ঢেলে বিএনপির কয়েকজন নেতার ‘মাথা ঠান্ডা করার’ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘ইউরেনিয়ামের দুইটা চালান এসে গেছে। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন খানের মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায়... যে লাফাবে মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।’
বিজ্ঞাপন
কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, যে বিষাক্ত ইউরিয়ামের তেজস্ক্রিয়া দিয়ে গোটা বিশ্বকে ধ্বংস করা যায়, সে ইউরিয়াম বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যের মাথায় ঢেলে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। আজকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শেখ হাসিনা সরকার এবং তার মন্ত্রীরা বাংলাদেশে গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, ক্রসফায়ারে জড়িত। সেটার আলামত বহন করে এই বিষাক্ত রাসায়নিক ইউরিয়াম ঢেলে দেওয়ার হুমকি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা কাদেরকে দিয়ে এই কেমিক্যালে মানুষকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারবেন, কত গণতন্ত্রকামী মানুষকে যে নিশ্চিহ্ন করবেন, পুড়ে ছারখার করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রিজভী বলেন, যে নেত্রী দেশে বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন, যিনি আপামর গণমানুষের নেত্রী, আজ সেই খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার অধিকার নেই, নেই বেঁচে থাকার অধিকার। আজকে পদ্মা মেঘনা যুমনাসহ সারাদেশে ধ্বনি ওঠেছে দেশনেত্রীকে বাঁচানোর জন্য। অথচ, পাষাণ ও নিষ্ঠুর শেখ হাসিনার কানে সে ধ্বনি পৌঁছায় না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা, সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজ, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, কাজী রফিক, মোশাররফ হোসেন, ড্যাব নেতা ডা. ইউনুস প্রমুখ।
বিইউ/এমআর

