বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতে দুর্নীতি এবং উত্তরণের প্রয়োজনীয়তা

অহিদুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতে দুর্নীতি এবং উত্তরণের প্রয়োজনীয়তা

বাংলাদেশের আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) এবং টেলিযোগাযোগ খাত গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু এই সাফল্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর দুর্নীতি, বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর গুরুতর হুমকি। উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি, সরকারি কর্মকর্তাদের অবৈধ চুক্তি এবং বিদেশি স্বার্থের প্রতি পরোক্ষ আনুগত্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাত বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, দেশের তথ্য ও যোগাযোগ অবকাঠামোর মূল নিয়ন্ত্রণ বিদেশি সংস্থাগুলোর হাতে চলে গেছে, যা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

এখানে আমরা বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতে বিদ্যমান দুর্নীতি, জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি এবং একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী খাত গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা ও পদক্ষেপগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।


বিজ্ঞাপন


১. দুর্নীতি ও বিদেশি নিয়ন্ত্রণের চিত্র

বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতে দুর্নীতি ও বিদেশি প্রভাবের মাত্রা অভাবনীয়। সরকার নিয়ন্ত্রিত অনেক প্রকল্পে বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট ছিল, যার মাধ্যমে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের গোপন তথ্য ও অবকাঠামোর ওপর প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। উদাহরণস্বরূপ, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো এমন কিছু বিদেশি কোম্পানির হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে, যেগুলো সরাসরি বিদেশি স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্ভার এবং গোপনীয় তথ্যের ওপর ভারতীয়দের নিয়ন্ত্রণ ও অ্যাক্সেস থাকার ঘটনা আমাদের আর্থিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পাশাপাশি, ইসরায়েল থেকে আড়িপাতা ডিভাইস আমদানি, যা দেশের স্পর্শকাতর তথ্য চুরি এবং ফাঁসের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ভয়াবহ আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সাবমেরিন ক্যাবল লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি। ২০২২ সালে, SEA-ME-WE-4 এবং SEA-ME-WE-5 সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে যথেষ্ট ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা সত্ত্বেও আরও তিনটি প্রাইভেট সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এসব কোম্পানির মধ্যে মেটাকোর, সামিট কমিউনিকেশন এবং সিডিনেট—সরকারি সহযোগিতায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দুর্নীতি ও জাতীয় স্বার্থের বিক্রির ফসল।


বিজ্ঞাপন


২. জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের হুমকি

এখানে প্রধান সমস্যা হলো, এই বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক কাম্পানা কোম্পানি, যা মিয়ানমারের নাগরিকদের মালিকানায় রয়েছে, এই প্রাইভেট সাবমেরিন ক্যাবল লাইসেন্সধারী কোম্পানির সাথে যুক্ত। তাদের ক্যাবল মিয়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত, যা বাংলাদেশের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। মিয়ানমার চাইলে, এই সংযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি একটি স্বাধীন দেশের জন্য বড় পরাজয়ের নামান্তর।

টেলিকম খাতে ভারতেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতছাড়া হচ্ছে। WIPRO এবং ভারতী এয়ারটেলের মতো ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশের টেলিকম খাতের মূল নেটওয়ার্ক এবং লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের তথ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। গ্রামীণফোন এবং রবি আজিয়াটা—এই দুটি প্রধান মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতীয় প্রভাবাধীন কোম্পানির হাতে চলে যাচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।

৩. অর্থ পাচার ও লুটপাট

সরকারি আইটি প্রকল্পগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত চক্রের জন্য একটি বিশাল অর্থনৈতিক লুটপাটের সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিঙ্গাপুর এবং অন্যান্য দেশে খোলা অফিসগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। হাসিনা সরকার এবং তার দলের নেতাকর্মীরা সরাসরি এসব অর্থ লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল। হাজার হাজার কোটি টাকা মূল্যের সফটওয়্যার তৈরির নামে অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার কোনো বাস্তব কার্যকারিতা ছিল না। অর্থাৎ, আইটি খাতের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলেছে। এই অর্থনৈতিক অপচয় দেশের উন্নয়নের পথে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

৪. টেলিকম খাতে ভারতের প্রভাব

ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবের কথা আগেই উল্লেখ করেছি। ভারতীয় কোম্পানি যেমন WIPRO এবং ভারতী এয়ারটেল, বাংলাদেশের টেলিকম খাতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জাতীয় স্বার্থের সাথে প্রতারণা করেছে। গ্রামীণফোনের কোর নেটওয়ার্ক এবং লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের তথ্য ভারতের হাতে চলে গেছে। একইভাবে, রবি আজিয়াটা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ভারতী এয়ারটেল এবং এর কার্যক্রম ভারতীয় প্রভাবের অধীন। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশিরভাগই আজ ভারতীয় কোম্পানির হাতে বন্দি।

ICT1

ফেসবুক এবং গুগলও ভারতীয় ডাটা সেন্টার ব্যবহার করে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ট্র্যাফিক পরিচালনা করছে। কলকাতা এবং চেন্নাইয়ে গুগলের ডাটা সেন্টার স্থাপন করে তারা বাংলাদেশি ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের সুযোগ নিয়েছে, ফলে বাংলাদেশের ব্যান্ডউইডথ খরচও ভারতীয় কোম্পানির হাতে চলে যাচ্ছে।

৫. জরুরি প্রয়োজন: দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ দলের নেতৃত্বে সংস্কার

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একটি শক্তিশালী বিশেষজ্ঞ দল প্রয়োজন, যারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিকম খাতকে পুনর্গঠন করতে পারবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত অবিলম্বে একটি দেশপ্রেমিক, দক্ষ বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা, যারা এই খাতের দুর্নীতি উন্মোচন করবে এবং পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে। এই বিশেষজ্ঞ দলকে তিনটি প্রধান কাজ করতে হবে:

৫.১ দুর্নীতির উন্মোচন এবং শুদ্ধিকরণ

দলটির প্রথম কাজ হবে বিগত সরকারের সময়ে যেসব প্রকল্প এবং কার্যক্রমে দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করা। পাশাপাশি, এসব দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং লুটপাট বন্ধ করে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে।

৫.২ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের মূলভিত্তি হচ্ছে দেশের তথ্য এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ। বর্তমান ব্যবস্থায় বিদেশি শক্তি এবং তাদের সমর্থিত কোম্পানিগুলোর হাতে দেশের স্পর্শকাতর তথ্য চলে গেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এই বিশেষজ্ঞ দলকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব সফটওয়্যার এবং সার্ভারের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং দেশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনতে হবে। সব ধরনের বিদেশি ডিভাইস এবং সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ করে দেশের নিজস্ব উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

৫.৩ সুপারিশ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা

তৃতীয় কাজ হিসেবে, বিশেষজ্ঞ দলের উচিত একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, যা দেশের আইসিটি এবং টেলিকম খাতের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এই পরিকল্পনায় অব্যাহত দোষ খুঁজে বের করা, দুর্নীতি নির্মূল করা এবং শক্তিশালী, স্বনির্ভর প্রযুক্তিগত অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা খাতটির অগ্রগতি মনিটর করতে এবং বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া তদারকি করতে হবে, যাতে একটি টেকসই এবং স্বতন্ত্র তথ্যপ্রযুক্তি এবং টেলিকম খাত গড়ে তোলা যায়।

৬. একটি শক্তিশালী আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতের জন্য বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা

বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতকে দেশীয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনটি স্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি: স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তব সম্মত, অর্জনযোগ্য এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

৬.১ স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা

স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনাগুলো তাৎক্ষণিক পদক্ষেপগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে, যা সেক্টরের অস্থিতিশীলতা এবং দুর্নীতির প্রভাব কমাতে সহায়ক হবে।

সরকারি প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা মূল্যায়ন: সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে সমস্ত সরকারি আইটি প্রকল্পগুলোর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে হবে। এর মধ্যে প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা পর্যালোচনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা এবং দুর্নীতির অভিযোগগুলোর তদন্ত অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

দুর্নীতি তদন্ত এবং শাস্তি: যেসব প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে দুর্নীতি কমে আসে।

Teli

নতুন দক্ষ জনবল নিয়োগ: দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক জনবল নিয়োগ করে সেক্টরের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। নতুন নিয়োগকৃত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৬.২ মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা

মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনাগুলোর উদ্দেশ্য হলো, চলমান প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন এবং দেশে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

প্রকল্প উন্নয়ন এবং সংস্কার: বর্তমান প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন করতে হবে, যেখানে নিরাপত্তা এবং সিস্টেমের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকল্পগুলোর সংস্কার করতে হবে।

দেশীয় প্রতিভা এবং সম্পদ ব্যবহার: বাংলাদেশের নিজস্ব প্রযুক্তি এবং প্রতিভা ব্যবহার করে আইসিটি খাত পরিচালনা করা উচিত। দেশীয় প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

অপচয় কমানো এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি: প্রকল্পগুলোর অপচয় কমানো এবং তাদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা উচিত।

৬.৩ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাগুলোর উদ্দেশ্য হল একটি সম্পূর্ণ স্বনির্ভর আইটি শিল্প গড়ে তোলা, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করবে।

স্বনির্ভর আইটি শিল্প গড়ে তোলা: দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করে একটি সম্পূর্ণ স্বনির্ভর আইটি শিল্প গড়ে তোলা উচিত। এর মাধ্যমে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশ: দেশে নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য উন্নত গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

নিরাপদ এবং কার্যকর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা: একটি নিরাপদ এবং কার্যকর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

একটি শক্তিশালী আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাত দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সেক্টর দীর্ঘমেয়াদে উন্নতি লাভ করবে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত থাকবে।

৭. নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান, অবিলম্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল নিয়োগ করে বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাতের দুর্নীতি উন্মোচন এবং পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। আজ বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ খাত একটি সংকটপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এসেছে। সরকারের উচিত এই খাতের দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী এবং স্বনির্ভর তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা। দেশের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই, নিরাপদ, এবং শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ খাত গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

লেখক: এলএলএম, হার্ভার্ড; অ্যাটর্নি অ্যাট ল, (যুক্তরাষ্ট্র)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর