বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বইমেলায় আসছে ফারজানার ‘গল্পের বন্ধু’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৮ এএম

শেয়ার করুন:

বইমেলায় আসছে ফারজানার ‘গল্পের বন্ধু’
ছবি : ঢাকা মেইল

এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে শিশুদের জন্য ফারজানা আক্তারের মৌলিক গল্পের বই—‘গল্পের বন্ধু।’ বইটি প্রকাশ করছে দাঁড়িকমা প্রকাশনী। পাওয়া যাবে মেলার ৪৮৮ নম্বর স্টলে। 

ফারজানা আক্তারের জন্ম কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার চরমাহমুদ্দি গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। পেশায় তিনি একজন ওয়েব ডেভেলপার। পাশাপাশি নারী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা ওমেন্স কর্নারের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি হিসেবে আছেন। নারীদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া ‘সৃষ্টি’র প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার (চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার) দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


ফারজানা জানান, তার লেখালেখি খুব বেশিদিনের নয়। মতামত বিভাগে লেখালেখি দিয়েই শুরু। এখন তিনি ছোটগল্পসহ বিভিন্নরকম বিষয়ভিত্তিক লেখালেখিও করছেন।  

এ সম্পর্কিত আরও খবর
আসছে রিক্তা রিচির কবিতার বই ‘আমাকে লিখে রাখো’

‘গল্পের বন্ধু’র লেখক বলেন, ‘আমার লেখায় সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন ইস্যু এবং মানসিক টানাপোড়েনের বিষয়গুলো ইতিবাচকতায়  (পজেটিভনেস) ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করি।’

শিশু-কিশোর বিশেষ করে কিশোরীদের নিয়ে একটি আলাদা ভাবনার জায়গা রয়েছে এই লেখকের। ফারজানা বলেন, ‘প্রযুক্তির এই যুগে শিশুরা কেমন যেন রোবটিকভাবে বেড়ে উঠছে, অন্যদিকে কিশোর-কিশোরীরা তাদের সুন্দর সময়টা সৃজনশীল কাজে ব্যয় না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটিয়ে দিচ্ছে। এসব নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।’ 


বিজ্ঞাপন


প্রথমবারের মতো মেলায় বই আসছে। এ নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ফারজানা বলেন, ‘একইসঙ্গে অনেক বেশি আনন্দ এবং ভয় কাজ করছে। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। প্রকাশ করার ভাষা জানা নেই।’

এই লেখক বলেন, ‘আমি জানি না শিশুরা এবং তাদের অভিভাবকরা কীভাবে এই বই গ্রহণ করবে। তবে সবার কাছে দোয় চাই— আমার লেখালেখির এই যাত্রা যেন দীর্ঘ পথের হয়। এই পথের প্রতিটি পদক্ষেপে আমি যেন আমার দায়িত্ববোধের, সততার, আন্তরিকতার এবং দক্ষতার ছায়া রেখে যেতে পারি।’

‘গল্পের বন্ধু’ সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক জানান, বইটি সমসাময়িক প্রেক্ষাপট নিয়েই লেখা। প্রযুক্তির আগ্রাসনে প্রভাবিত শিশুদের বর্তমান দৈনন্দিন জীবন। এ নিয়ে রীতিমতো বিপাকে অভিভাবকরা। কীভাবে এই কঠিন সময়ের উত্তরণ ঘটবে তা নিয়েও চিন্তিত শিশুদের বাবা-মায়েরা। বইটিতে সে বিষয়েই বার্তা দেয়ার চেষ্টা রয়েছে।

/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর