ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় দুই হাজার কৃষককে নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এছাড়া এক হাজার পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কাজও চলমান রয়েছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের কাজ সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার কৃষককে সহায়তা করা। আমরা এ যাবৎ ১৯৪৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে পাঁচ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ-সহায়তা করেছি। যাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেটের ৯৮৭ জন এবং সুনামগঞ্জের ৯৬২ জন কৃষক। যারা নানা কারণে সহায়তা গ্রহণ করতে পারেননি, তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও লিখেন, আর বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের আওতায় গৃহহারা এক হাজার পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কাজও অনেকদুর এগিয়ে গেছে। আশা করছি খুব শিগগিরই পুরো প্রকল্পের সমাপ্তি ও সামারি ঘোষণা করতে পারবো আমরা।
বিজ্ঞাপন
শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সরেজমিন তদন্তের মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে এবং সকল উপকারভোগীর বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত ও প্রাপ্তি স্বিকারের ডকুমেন্ট যথারীতি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। মহান আল্লাহ যেন সকল ডোনার, সহযোগী, স্বেচ্ছাসেবী ও উপকারভোগীদের ওপর সন্তষ্ট হন সেই দোয়াও তিনি করেন।
গত জুলাই ও আগস্ট মাসে কয়েক দফার বন্যায় চরমভাবে বিপর্যস্ত হয় সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকা। বন্যার শুরু থেকেই বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি কয়েকশ টন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বন্যার্তদের মাঝে। ঈদুল আজহায় একশ গরু কোরবানি দিয়েছে বন্যা দুর্গত এলাকায়। এছাড়া বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: এবার ৫০ হাজার গাছ লাগাবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ স্লোগানকে ধারণ করে ২০১৮ সালে যাত্রা করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। বিশিষ্ট দাঈ ও জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তাঁর হাত ধরেই মূলত সংস্থাটির কার্যপরিধি দিন দিন বিস্তৃতি লাভ করছে।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক শিক্ষা, দাওয়াহ ও মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আর্তমানবতার সেবা, কর্মসংস্থান তৈরি, দারিদ্র্য বিমোচন, বহুমুখী শিক্ষায়ন প্রকল্প পরিচালনা, ত্রাণ বিতরণ, স্বল্পমূল্যে বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এ ধরনের কাজের মাধ্যমে একটি আদর্শ ও কল্যাণমূলক সমাজ গড়ে তুলতে কাজ করছে বেসরকারি এই সেবা সংস্থাটি।
জেবি