চ্যারিটি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এবার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কথা জানালেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। সোমবার (২৯ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ব্যক্তিগত সহায়তায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সীমাবদ্ধতার কথা বলতে গিয়ে তিনি এই স্বপ্নের কথা জানান।
যারা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কাছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক অর্থ ও চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন, তাদের উদ্দেশে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অনেকে আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন। তাদেরকে সবিনয়ে জানাচ্ছি, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ব্যক্তি-কেন্দ্রিক সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না। ব্যক্তিগত সহযোগিতার আবেদনগুলো যাচাই করার মতো লোকবল এবং বাস্তবায়ন করার মতো পর্যাপ্ত ফান্ড আমাদের কাছে নেই। এছাড়া রয়েছে আরও নানা সীমাবদ্ধতা।
বিজ্ঞাপন
নিচে ঢাকা মেইলের পাঠকদের জন্য শায়খ আহমাদুল্লাহর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে ব্যক্তিগত অর্থ-সহায়তা, ঋণ পরিশোধ, চিকিৎসা-সহায়তা ও করজে হাসানার আবেদন প্রসঙ্গে
অনেকে আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন। তাদেরকে সবিনয়ে জানাচ্ছি, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ব্যক্তি-কেন্দ্রিক সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না। ব্যক্তিগত সহযোগিতার আবেদনগুলো যাচাই করার মতো লোকবল এবং বাস্তবায়ন করার মতো পর্যাপ্ত ফান্ড আমাদের কাছে নেই। এছাড়া রয়েছে আরো নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সিলেটে তারার মেলা বসিয়ে প্রশংসায় ভাসছে ‘সৃজনঘর’
মূলত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রকল্প ভিত্তিক চ্যারিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে। কোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে তার উন্মুক্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী ক্যাটাগরি ভিত্তিক সহযোগিতা করা হয়। যথাযথ শর্ত পূরণ হলে যে কেউ সে প্রকল্প থেকে উপকৃত হতে পারেন। ইতোমধ্যে যেসব প্রজেক্ট আমরা বাস্তবায়ন করেছি, তার বিবরণ দেখলে আমাদের কার্যক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যাবে। ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে আমাদের সকল প্রকল্পের বিবরণ রয়েছে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রকল্প গৃহীত হবে ইন-শা-আল্লাহ। এর প্রাথমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হয়তো আরো কিছুটা সময় লাগবে। এই বিষয়ে যথাসময়ে উন্মুক্ত ঘোষণা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্নও আমাদের রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আলেমরা আবার নামলে ঢাকায় জায়গা হবে না’
এছাড়া অনেকে আমাদের কাছে ঋণ চেয়ে আবেদন করেন। ঋণ প্রদান প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা অনুমোদিত নই। এছাড়াও আছে নানা ধরণের সীমাবদ্ধতা।
উল্লেখ্য, খু্ব শিগগিরই বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে আরো বড় পরিসরে প্রশিক্ষণ ও উপার্জন উপকরণ প্রদানের প্রকল্প আমরা শুরু করতে যাচ্ছি ইন-শা-আল্লাহ।
প্রত্যেক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে আমাদের অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু সেই সুযোগ না থাকায় আমরা দুঃখিত। আমাদের সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ইন-শা-আল্লাহ এক সময় হয়ত আমরা ব্যক্তিগত আবেদনগুলো নিয়েও কাজ করতে পারবো। মহান আল্লাহ সেই তাওফীক দান করুন।