সুনিপুণ অঙ্গুলি সঞ্চালনে পিয়ানোতে ওঠছে সুরধারা। শিল্পী ইয়েভগেনিয়া ইয়েরমাকোভার এই গীতিবাদ্য পিনপতন নিরবতায় উপভোগ করেছেন শ্রোতারা। একইভাবে সবাইকে গানে গানে দারুণভাবে মাতিয়ে রেখেছিলেন শিল্পী সের্গেই গ্লাদিশেভ। সুরপ্রেমীরাও এর বিনিময় হিসেবে থেকে থেকে করতালিতে অভিবাদন জানিয়ে যাচ্ছিলেন।
দুই রুশ সঙ্গীত শিল্পীর ঐকতানে বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিমূগ্ধ এক সন্ধ্যাই কাটালেন শ্রোতা-দর্শকরা। রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির রাশিয়ান হাউস মিলনায়তনে বসেছিল গানের এই আসর। আর সুরের মূর্ছনার মধ্য দিয়ে এভাবেই উদযাপিত হলো রুশ ফেডারেশনের জাতীয় ঐক্য দিবস।
বিজ্ঞাপন

ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের গান নিয়ে আয়োজনের সহযোগী ছিল বাংলাদেশ-রাশিয়া মৈত্রী সমিতি। এই সমিতির সভাপতি সাত্তার মিয়া অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের সম্প্রীতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংস্কৃতির বিনিময় খুবই গুরুত্ববহ। রাশিয়ান হাউসের এই গালা কনসার্ট শিল্পকলার মাধ্যমে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার এক সুন্দর দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে যাবে। যা রাশিয়া ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনকে আরও মজবুত করবে বলে তিনি মনে করেন।

বিজ্ঞাপন
বক্তব্যের পালা শেষে শুরু হয় রুশ ধ্রুপদ সঙ্গীতের ঘন্টাখানেকের পরিবেশনা। দুই শিল্পী একে একে উপস্থাপন করেন খ্যাতনামা সুরকার এম. গ্লিঙ্কা, সি. রাখমানিনভ, এ. দারগোমিঝস্কি, এম. মুসর্গস্কি, ডি. শোস্তাকোভিচ, সি. দ্যবুসি, এ. পেত্রোভ, সি. পজলাকভ এবং এ. বাবাজানিয়ানের অনবদ্য সব সৃষ্টি।
সঙ্গীতের শক্তি এমন যে, যেখানে ভাষাগত সীমাবদ্ধতা সহজেই পার হওয়া যায়। মজে থাকা যায় শুধু সুরের ইন্দ্রজালেই। রুশ ধ্রুপদ সঙ্গীতের আয়োজন সেই সত্যই যেন আরো একবার প্রমাণ করে দিলো। এই কারণে রাশিয়ান হাউজের আয়োজনে সুর-সুধা শ্রোতাদের বিনোদিত করেছে অনায়াসেই। এর আবেশও নিশ্চিত করেই থেকে যাবে কিছুকাল।
এজেড

