ঈদকে কেন্দ্র করে সবখানেই যেন বাড়তি টাকা নেওয়ার উৎসব শুরু হয়েছে! মার্কেট থেকে শুরু করে রাজপথ সব জায়গায় সাধারণ মানুষের পকেট কাটছেন একশ্রেণির মানুষ। ঈদের ঠিক দুদিন আগে রাজধানীতে বকশিসের নামে বাসে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ১০ টাকার ভাড়ার জায়গায় নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। বলা হচ্ছে আগের ভাড়া ১০ টাকা, আর ঈদের বোনাস ১০ টাকা!
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে সাভার রুটে চলা সাভার পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেও কোনো উত্তর নেই বাস স্টাফদের৷ তাদের সোজা উত্তর পোষালে যাবেন না পোষালে নেমে যান। ফলে প্রয়োজনের তাগিদে বাইরে বের হওয়া যাত্রীরা উপায় না পেয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত সাভার পরিবহনে ভাড়া ১০ টাকা। কিন্তু একজন যাত্রী বংশালের পরে সুরিটোলা নামতে গেলে কন্ডাক্টর তার কাছে ২০ টাকা চাইলে যাত্রী প্রতিবাদ করেন। বাড়তি ভাড়া কেন প্রশ্ন করলে কন্ডাক্টর বলেন, দশ টাকা ভাড়া, দশ টাকা বোনাস। পরে মৃদু প্রতিবাদ করে যাত্রী শেষ পর্যন্ত ২০ টাকা দিয়ে নেমে যান।
ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে দুই তরুণী সায়েন্সল্যাবরেটরি যাওয়ার জন্য বাসটিতে উঠতে চাইলে তাদের কাছে ভাড়া চাওয়া হয় ৩০ টাকা করে।
বিজ্ঞাপন
২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা কেন- প্রশ্ন করলে ঈদের বকশিসের কথা বলেন কন্ডাক্টর। পরে আর দুই তরুণী বাসে উঠেননি।
একই ঘটনা ঘটে তাঁতীবাজার মোড়েও। একজন নারী তার দুই সন্তানসহ আমিনবাজার যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। বাস আসার সঙ্গে সঙ্গে সেটিতে উঠতে চাইলে ১০০ টাকা করে ভাড়া চাওয়া হয়। এতে তারা চটে যান। কারণ স্বাভাবিক সময়ে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু কন্ডাক্টরের সাফ কথা গেলে একশো টাকা দিতে হবে।
এ সময় বাসে থাকা এই প্রতিবেদক প্রতিবাদ করলে কন্ডাক্টর বলেন, 'ঈদের সময় একটু বেশি টাকা নেবেন না?
পল্টন মোড় পর্যন্ত দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে গাবতলীর ভাড়া ৩০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে। বাড়তি ভাড়া দিতে না চাওয়ায় অনেককে গাড়ি থেকে নেমে যেতেও দেখা যায়।
পল্টন মোড়ে বাড়তি ভাড়ার বিষয়টি জানালে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ঢাকা মেইলকে বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
এ সময় সাভার পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে কোনোভাবে যেন বাড়তি ভাড়া নেওয়া না হয় সেজন্য স্টাফদের কড়া নির্দেশ দেন তিনি। বাড়তি ভাড়া নিলে গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানোরও হুঁশিয়ারি দেন ট্রাফিক সার্জেন্ট।
বিইউ/এমআর