পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি আলোচিত ব্যবসায়ী আরাভ খানকে আটকের গুঞ্জন উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তাকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, আরাভ খানকে দুবাইয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগের এআইজি মো. মনজুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, আরাভ খানকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরাভ ইস্যুতে মুখ খুললেন বেনজীর আহমেদ
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি বাসায় খুন হন এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান। পরদিন তার মরদেহ বস্তায় ভরে গাজীপুরের উলুখোলার একটি জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মামলাটি তদন্ত করে পরের বছরের এপ্রিলে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি। অভিযোগপত্রে পুলিশ উল্লেখ করে, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চক্র ধনী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করত।
বিজ্ঞাপন
২০১৯ সালের এপ্রিলে পুলিশ মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় রবিউলসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে রবিউল ছাড়াও আরও নয়জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হতে পারে সাকিব-হিরো আলমকে
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর হত্যা মামলাটিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর রবিউল ইসলাম পরিচয় দিয়ে একজন ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। প্রায় ৯ মাস কারাভোগের পর ওই যুবক দাবি করেন, তিনি আসল রবিউল ইসলাম নন, তার প্রকৃত নাম আবু ইউসুফ। রবিউল ইসলামের কাছ থেকে মাসিক নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে আসামির পরিচয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর মধ্যে রবিউলের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পুলিশ হত্যা মামলার আসামির দাওয়াতে ‘দুবাইয়ে’ সাকিব!
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আরাভ খানের স্বর্ণের দোকানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্রের বেশ কয়েকজন তারকাকে আমন্ত্রণ জানানোর পর থেকে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
আরাভ জুয়েলার্স নামে যে প্রতিষ্ঠানের মালিকের আমন্ত্রণে সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমরা দুবাই যান সেই আরাভ খান মূলত রবিউল ইসলাম। মূলত তিনিই ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল।
আরও পড়ুন: আরাভ খান নামে আমার কোনো ভাই নেই: আমিন খান
তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয় বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে গতকাল পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আরাভ খানকে ধরতে ইন্টারপোলের পক্ষ থেকে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এর পরদিনই তাকে দুবাই থেকে আটকের গুঞ্জন উঠেছে।
এমআইকে/এমআর

