বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

রোহিঙ্গারা এখন ‘ভারী বোঝা’, প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

রোহিঙ্গারা এখন ‘ভারী বোঝা’, প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা কামনা

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন বাংলাদেশের জন্য ভারী বোঝা বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য তাদের প্রত্যাবাসনে জাপানের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন সরকারপ্রধান।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।


বিজ্ঞাপন


সাক্ষাৎকালে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপান বাংলাদেশকে সমর্থন করে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাপান মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলতে পারে।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রস্তাব জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি ভারী বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়েছে এবং ক্যাম্পে নতুন শিশুর জন্মের ফলে তাদের সংখ্যা বাড়ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো, রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক ও অস্ত্র পাচারের সাথে জড়িত। তারা (রোহিঙ্গা অভ্যন্তরীণ দল) একে অপরের সাথে মারামারি ও হত্যা করছে। মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এ সময় জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দেন। তবে তিনি জানান, মিয়ানমারে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেশটিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হলে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে বলে মনে করেন তাকেই শুনসুকে।

japan2

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্ককে বিস্ময়কর উল্লেখ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান হারে বিকশিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং স্বাধীনতার পরপরই বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাপানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জাপানের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, তারা এখনও বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে যার মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ি এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশের

জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে বলেন, জাপান সরকার জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০১৪ সালে চালু করা জাপান ও বাংলাদেশের ব্যাপক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য ঢাকা থেকে টোকিওর মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার ফলে আগামী দিনে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি উপস্থিত ছিলেন।

জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর