আদালতপাড়া থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পালিয়ে যাওয়া দুই আসামিকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপি সদর দফতর থেকে ঢাকার সব বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা দুই জঙ্গিতে ধরতে ইতোমধ্যেই রেড এলার্ট জারি করেছি। আমরা কাজ করছি। এখন পর্যন্ত (৩টা ৫০ মিনিট) বিশেষ কোনো আপডেট নেই। তবে কাজ চলছে।
এদিকে সারাদেশের আদালতগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান।
এই কর্মকর্তা বলেন, সারাদেশের আদালতগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যেভাবে ছিনিয়ে নেওয়া হলো দুই জঙ্গিকে
বিজ্ঞাপন
এর আগে দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের কাছে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের মুখে ‘গ্যাস স্প্রে’ করে পালিয়ে যায় দুই আসামি। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার আসামি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে দুই জঙ্গিকে আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। ১২টার দিকে হঠাৎ পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে আগে থেকে প্রস্তুত থাকা একটি মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায় দুই আসামি। মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন আরেকজন।
পুলিশের দাবি, জঙ্গিরা আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের দিকে স্প্রে ছোড়ার পরই চারদিকে ধোঁয়ার মতো হয়ে যায়। এরপরই জঙ্গিরা পালিয়ে যান।
দুই জঙ্গির একজনের নাম মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির। তার বাড়ির সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। অপরজন হলেন মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তিনি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা।
জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলা এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তারা। এদের ধরিয়ে দিতে পুলিশ এক সময় পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
ঘটনার পরপরই কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
ডব্লিউএইচ/এমআইকে/জেবি