সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন ফারদিনের বাবা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ০১:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন ফারদিনের বাবা

নিখোঁজের পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছেলের মরদেহ উদ্ধারের দুদিন পর হত্যা মামলা করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন। বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রয়াত শিক্ষার্থী ফারদিনের বান্ধবী বুশরাসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, আসামিরা তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করতে নদীতে ফেলে দিয়েছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজধানীর রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা মামলা দায়ের করেন। তাতে তিনি এমন অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। 


বিজ্ঞাপন


এরইমধ্যে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করলেন ফারদিনের বাবা

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফারদিন নূরের বান্ধবীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশে নদীতে ফেলে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, মামলায় একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি বুশরা। মামলার পর তাকে এজাহারনামীয় হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তথ্য তদন্তে বেরিয়ে আসবে।


বিজ্ঞাপন


রাজধানীর রামপুরা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের ছাত্র ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

নিখোঁজের ৮ নভেম্বর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’

আরও পড়ুন: পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বুয়েটছাত্র ফারদিনকে: দাবি পরিবারের

ফারদিনের সহপাঠীরাও অভিযোগ করেছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, ফারদিন নূরের ওই বান্ধবী বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। তারা বিতর্ক করতেন। চার বছর ধরে ওই বান্ধবীর সঙ্গে ফারদিন নূরের যোগাযোগ।

ফারদিন নূর বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলে সংযুক্ত থাকলেও হলে থাকতেন না। পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন।

ফারদিনের মামা খান সেলিমুজ্জামানও অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে কারা রয়েছে, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে বের করবে।’

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে উল্লেখ করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ ঘটনার পেছনে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আমরা কাজ করছি। বান্ধবীকে নামিয়ে দেওয়ার পর সে কোথায় কোথায় গিয়েছে, সে বিষয়ে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেসব বিষয় তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে বোঝা যাবে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি এর পেছনে অন্য কোনও ঘটনা ঘটেছে।’

বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর