বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন কাঁদালেন ফারদিনের বাবা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৯:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন কাঁদালেন ফারদিনের বাবা

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশের বাবা সাংবাদিক কাজী নূর উদ্দিন।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতি ইঙ্গিত করে এসময় ফারদিনের বাবা বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিদফতরের পরিচালককে বলেন, 'স্যার, একের পর এক মেধাবী শিক্ষার্থীরা খুন হচ্ছে। বিচার তো হচ্ছে না। আমার ছেলে হত্যার বিচার পাব তো?'


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বেলা দুইটার কিছু সময় পর বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে ফারদিনের জানাজা হয়। জানাজার আগে ছেলের জন্যে সবার কাছে ক্ষমা চান ফারদিনের বাবা। পরে তিনি কাঁদতে কাঁদতে ছেলে হত্যার বিচার চান। এসময় ফারদিনের সহপাঠী, বুয়েটের শিক্ষার্থী ও তার স্বজনদের চোখ ভিজে ওঠে।

গত শুক্রবার দুপুরের পর ডেমরার বাসা থেকে বুয়েটে আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হন পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন। তারপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি। গত শনিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফারদিনের ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শেখ ফরহাদ জানিয়েছেন, ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বুকের ভেতরে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড।

আরও পড়ুন: ফারদিনের বুয়েটের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন থামিয়ে দিল ঘাতকেরা


বিজ্ঞাপন


জানাজা শেষে ফারদিনের বাবাও দাবি করেন তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এটি স্বাভাবিক নয়। এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। আমি আমার সন্তানকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু আমি এর বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এসময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি চাই আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়। এজন্য আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

এদিকে ফারদিনের জানাজা শেষে তার হত্যার প্রতিবাদে এবং দ্রুত তদন্তের দাবিতে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে তার সহপাঠীরা মানববন্ধন করেছেন। এরপর তার লাশ নিয়ে ডেমরার কোনাবাড়ির (তার পরিবার সেখানে থাকে) উদ্দেশে রওনা দেন স্বজনেরা।

সেখানে বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা শেষে লাশ নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর