রোববার, ১৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মনোনয়নে ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মনোনয়নে ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ দেওয়ার লক্ষ্যে ১৩ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড গঠন করেছে সরকার। এতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (চলচ্চিত্র) সভাপতি এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র), বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত ফেরদৌস, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, চিত্রগ্রাহক পঙ্কজ পালিত, অভিনেতা জাহিদ হাসান, অভিনেত্রী সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), সংগীত শিল্পী মোহাম্মদ নকিব উদ্দিন খান (নকিব খান) ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

আরও পড়ুন: বলিউডের সিনেমায় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান

এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ দেওয়ার লক্ষ্যে ওই বছরে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রগুলো মূল্যায়ন করে পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি/চলচ্চিত্রের নাম সুপারিশ করার জন্য এই জুরি বোর্ড গঠন করা হলো। সেই সঙ্গে বোর্ডের কার্যপরিধিতে বলা হয়, জুরি বোর্ড ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র দেখে পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের নাম সুপারিশ করবে। পাশাপাশি বোর্ড পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরস্কারের বিবেচনার জন্য চলচ্চিত্র জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে। এছাড়াও জুরি বোর্ড প্রাপ্ত চলচ্চিত্রের স্ক্রিনিং, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে বিবেচ্য বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আজীবন সম্মাননা ব্যতীত অন্য সব ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে প্রয়োজনীয় মনে হলে জুরি বোর্ড একাধিক চলচ্চিত্র ও ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারবে। এছাড়া জুরি বোর্ড পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা ব্যক্তিদের জীবন-বৃত্তান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদয় অবগতি ও বিবেচনার জন্য সুপারিশমালার সঙ্গে দাখিল করবে। সেই সঙ্গে কোনো ক্ষেত্রে জাতীয় পুরস্কারের জন্য যথাযোগ্য মনে না করলে জুরি বোর্ড সে ক্ষেত্রে সুপারিশ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে সুপারিশ না করার কারণ উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি পুরস্কারের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুখ্য সুপারিশের সঙ্গে বিকল্প সুপারিশও দেবে জুরি বোর্ড।


বিজ্ঞাপন


এসব দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা ও কার্যক্রম ছাড়াও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে গঠিত বোর্ডকে জুরি বোর্ড গঠন সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

বোর্ড গঠনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, জুরি বোর্ডের কোনো সদস্য অথবা তার পরিবারের কোনো সদস্যের চলচ্চিত্র এই বোর্ড থেকে বিবেচ্য বছরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচনাধীন থাকলে সংশ্লিষ্ট সদস্য জুরি বোর্ডের সদস্য থাকতে পারবেন না। একই ক্ষেত্রের অন্য কোনো ব্যক্তি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। এতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড জুরি বোর্ডকে সার্বিক সহায়তা করবে। তবে নীতিমালা অনুযায়ী সুপারিশ প্রণয়ন করে জুরি বোর্ডকে আগামী দুই মাসের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর