বুধবার, ১ মে, ২০২৪, ঢাকা

চকবাজারে আগুন: অবহেলা থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্বজনদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

চকবাজারে আগুন: অবহেলা থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্বজনদের
ছবি: ঢাকা মেইল

রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছয়জনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় হোটেল মালিকের কোনো অবহেলা থাকলে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গের সামনে এমন দাবি জানান নিহতদের স্বজনরা।


বিজ্ঞাপন


অগ্নিকাণ্ডে নিহত বরিশাল হোটেলের কর্মী বিল্লাল হোসেনের স্বজন পলাশ বলেন, ‘তারা রাত ডিউটি করে সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিল।‌ আগুন লাগার সময় কোনোভাবে বের হতে পারেনি। কারণ, বের হওয়ার মতো কোনো পরিবেশ সেখানে ছিল না। এ ঘটনায় হোটেল মালিকের কোনো অবহেলা থাকলে আমরা তার শাস্তি চাই।’

এদিকে, হোটেল কর্মী রুবেলের খালা নাসরিন বলেন, ‘ভাগিনাটা কাজ করতে চাইত না। মালিক কে বলেছিল সে বাড়ি যাবে। সকালে তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। ঘুমিয়ে আর ওঠেনি। আমার সোনাটা মরার সময় কত না কষ্ট পেয়েছে। মালিক কেন তাদের ফলস সিলিংয়ে থাকতে দিল? আমরা তার বিচার চাই।’

যদিও ঘটনার পর থেকে হোটেলের মালিক ফখরুদ্দিন পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: হাল ধরার কেউ রইল না শরীফের পরিবারে


বিজ্ঞাপন


ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, আগুন লাগার সময় নিহতরা ঘুম থেকে জেগে উঠলেও বের হওয়ার সময় পাননি। কারণ, ওই সময় পুরো হোটেলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। নিহত ছয়জন ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।

এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পুরান ঢাকার চকবাজারের কালামবাগ এলাকায় অবস্থিত ওই ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। পরে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, হতাহতদের দাফনের জন্য সরকারের তাৎক্ষণিক একটা বরাদ্দ নির্ধারণ করা আছে। আমরা সর্বোচ্চটা দেব। এছাড়াও এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরও তালিকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে নিহতরা সবাই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী। তারা হলেন- শরীয়তপুরের দক্ষিণ বড় কাসমা ইউনিয়নের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে ওসমান সরদার (২৫), বরিশালের হিজলা উপজেলার শঙ্কর পাশা ইউনিয়নের পূর্ব টয়কা গ্রামের মৃত আলম সরদারের ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং একই এলাকার মোস্তফা মাঝির ছেলে মোতালেব হোসেন (১৬)।  এছাড়া হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামই ইউনিয়নের রাকেশ সরকারের ছেলে স্বপন সরকার (১৮),  কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মো. শরীফ (১৫), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রুবেল হেলাল।

এমআইকে/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর