মো. শরীফ। বয়স মাত্র ১৫ বছর। বাবার মেরদণ্ড ভাঙা, মা গুরুতর অসুস্থ। পরিবারে আরেক বড় বোন থাকলেও তার বিয়ে হয়ে গেছে। অভাবের সংসারে হাল ধরতে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে কাজ করত বরিশাল হোটেলে। নাইট ডিউটি করে সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় ঘুমাতে গিয়েছিল হোটেলের উপরের তলায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে চলে গেলেন শরীফসহ ছয়জন।
এই হোটেলে বাবুর্চি আবুল কাশেম বলেন, ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে রাতের শিফটে কাজ করত শরীফ। সে খুব ভালো ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করেনি।
বিজ্ঞাপন
শরীফের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনার তিরচরে। তার নিখোঁজের খবর পেয়ে এসেছেন নানি সালমা বেগম, মামা আরিফসহ স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে চকবাজারের আকাশ-বাতাস।
শরীফের মামা আরিফ বলেন, শরীফ নাইট ডিউটি করে ঘুমিয়েছিল। আগুন লাগার খবর শুনে তার নাম্বার বন্ধ পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। এসে দেখি আমার ভাগিনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শরীফের নানি সালমা বেগম বলেন, শরীফ আমার ভাগনির ছেলে। আহাজারি করে তিনি বলেন, আমার ভাগনি জামাইয়ের মেরুদণ্ড ভাঙা, ভাগনি অসুস্থ। শরীফই বাবা মায়ের ওষুধ খরচসহ সংসার চালাত। এখন কী হবে এই পরিবারের।
এসএএস/জেবি