ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ঘিরে কঠোর পাহারা গড়ে তুলেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের ধ্বংসস্তূপ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কাউকে। স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের লোকজন হঠাৎ বাড়ির ভেতরে ঢুকে ব্যানার, ফেস্টুন বা ফুল দিয়ে ছবি ও ভিডিও করে ফেসবুকে দেয়। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। হয়তো এ কারণেই সাধারণ মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, গতকাল (রোববার) ধানমন্ডি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিশাল মিছিল এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তিন শিফটে ভাগ করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) শাখার পুলিশ সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মার খাচ্ছেন নারীরাও
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে পুলিশ ধাপে ধাপে ডিউটি করছে। বিশেষ করে, গতকাল আওয়ামী লীগের মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়। তবে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধুর বাড়ির ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শাহ আলম মিয়া বলেন, আজ সকালে দুইজন ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ছবি তুলছিল। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাদের বাধা দেয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ির ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ঘিরে এখনও সতর্কতা, সন্দেহ হলেই ধাওয়া-জেরা
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জালাল মিয়া জানান, দুপুরে একজনকে ভেতরে ঢুকতে দেখেছি। পরে পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এখন ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আগের চেয়ে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দায়িত্বে থাকা ডিএমপি পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন বলেন, আমি আজকে এখানে নতুন এসেছি। তিন শিফটে আমাদের পুলিশ ডিউটি করে। প্রতি শিফটে ১৫ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্বে থাকে।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ক্যশৈনু মারমা বলেন, গতকাল মিছিলের ঘটনার পর আমরা থানা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তবে স্বাভাবিক দিনের মতোই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রয়েছে। আমাদের এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে।
একেএস/এআর

