বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্টো আওয়ামী মনা কিছু লোকজন সেখানে গিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পড়েছেন তোপের মুখে। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার মারধরের শিকারও হতে হয়েছে অনেককে। এদের মধ্যে একাধিক নারীও আছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর অবধি এমন একাধিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
এদের কেউ জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে এসে। কেউ আবার বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার দৃশ্য দেখে আক্ষেপ প্রকাশ করে হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডিতে বেদম মারধর করা হয় একজনকে। সেখানকার তিনজন লোক হামলার শিকার ব্যক্তিকে রিকশায় ওঠালে সেখানেও মারা হয়।
একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটলে লোকজন তাদের ফের ধাওয়া করে।
এদিকে ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় নারীসহ দু’জনকে মারধর করা হয়েছে। প্রথমে এক ব্যক্তি সেখানে জয় বাংলা স্লোগান দিলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে সেখান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রিকশায় তুলে নিয়ে যান। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে এক নারীকেও একই কারণে মারধর করা হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই বলছেন, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন, আবার কেউ বলছেন তিনি ভিডিও করার কারণে মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তখন আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দালাল বলে মারধর শুরু হয়।
এদিকে আরেকজন নারী শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার দৃশ্য দেখে আক্ষেপ করে বলছিলেন- ‘আপার বাড়ি ভাঙতেছে।’ এ কারণে তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়। পরে মারধরও করা হয়।
এর আগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইনে বক্তব্য রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনার বক্তব্য শুরুর পর থেকেই ধানমন্ডির বাড়ি ভাঙচুর করার ঘোষণা দেওয়া হয়। বুধবার রাত আটটার পর থেকে বিপুল সংখ্যক লোকজন জড়ো হয় ধানমন্ডিতে। রাতভর চলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ।
বিইউ/এফএ