শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪৫ হাজার

মো. মেহেদী হাসান হাসিব
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪৫ হাজার

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রণের ব্যবস্থা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ঢাকা মেইলকে বলেন, ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধি করা হতে পারে। এ ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হলে এটি আর বৃদ্ধি পেতে পারে।


বিজ্ঞাপন


ইসির এ সংক্রান্ত এক নথি থেকে জানা যায়, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৪৮টি আর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৩৪টি, যা গতবারের তুলনায় ২ হাজার ৭৮৬টি বেশি।

এদিকে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন, সেখানে ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নির্বাচন কর্মকর্তাদের একক ক্ষমতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০২৩ সালের ভোটকেন্দ্র নীতিমালা অনুযায়ী ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি গঠন করে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করত, যা বাদ পড়েছে নতুন নীতিমালায়। এক্ষেত্রে এখন থেকে ইসির কর্মকর্তাই ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করবেন।

গত ২১ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ইসির পঞ্চম কমিশন ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুমোদন করে, যেখানে বরাবরের মত গড়ে ৩ হাজার ভোটারের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র, গড়ে ৫০০ পুরুষ ও ৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি ভোট কক্ষ নির্ধারণের বিষয়টি রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সেদিন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল আমরা তা বিলুপ্ত করেছি। এটা কমিশনের অধীনে আনা হয়েছে।’

ভোটকেন্দ্র সংস্কারে মন্ত্রণালয়গুলোকে ইসির চিঠি

সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে অবকাঠামো উন্নয়নে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

সে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দরজা জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছোট-খাটো মেরামত/সংস্কার প্রয়োজন, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়। এছাড়া ওই নির্দেশনায় গত ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় —এমন স্থাপনাগুলোর তথ্য সংগ্রহে করে পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছিল।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ৪৪ হাজারের মতো ভোটকেন্দ্র ছিল। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল, ভোটকক্ষ ছিল ২ লক্ষাধিক। দশম সংসদ নির্বাচনে ৩৭ হাজার ৭০৭টি; ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। নবম সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র ছিল ৩৫ হাজার ২৬৩টি; ভোটকক্ষ ছিল ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৭৭টি।

এমএইচএইচ/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর