জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আরও শতাধিক কর্মকর্তা।
বুধবার (৯ জুলাই) আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে চেয়ারম্যানের দফতরে পৃথকভাবে দুই দফায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওইসব কর্মকর্তারা ক্ষমা চান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞাপন
এই কর্মকর্তারা সবাই বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের। যে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে আন্দোলন হয়েছিল, তার সঙ্গে এরা সবাই যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন এনবিআরের ২ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
এর আগে মঙ্গলবারও আয়কর ক্যাডারের প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সঙ্গে দেখা করে একইভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে আয়কর ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ৫০ কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সোয়া ৯টার দিকে কাস্টমস ও ভ্যাট ক্যাডারের আরও প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা দেখা করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: এনবিআরের চাকরিকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি
এ সময় তারা আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়, দেশ ও অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা স্বীকার করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা সরকারের নির্দেশনা মানা ও রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করবেন বলেও চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীকার করেন।
এসময় ক্ষমা চাওয়াদের মধ্যে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন কর্মকর্তারা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা আন্দোলন করেছেন, তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, রাষ্ট্র তাদের ক্ষমা করবে কি না, তা রাষ্ট্র জানে।’
আরও পড়ুন: এনবিআরে অচলাবস্থার অবসান, ফিরছে কর্মচাঞ্চল্য
এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রায় দুই মাসের আন্দোলনের ইতি টেনে গত ২৯ জুন ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। ৩০ জুন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান নিজ দফতরে ফিরে আসেন।
ওইদিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে সব কিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ ভবিষ্যতে এনবিআরকে আর এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এমআর/এএইচ

