সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ঢাকা

‘আমাকে বাদ দিয়ে মঈনকে সেনাপ্রধান বানানোর খবর শতভাগ বানোয়াট’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ এএম

শেয়ার করুন:

azmi
আবদুল্লাহিল আমান আযমী। (ফাইল ছবি)

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, ‘আমরা না জেনেই অনেক কিছু প্রচার করি, যা কাম্য নয়। অনেকেই বলেন, ২০০৫ সালে আমার (আযমী) সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। আমাকে না বানিয়ে জেনারেল মঈনকে বানানো হয়েছে। এটা শতভাগ বানোয়াট ও কল্পিত।’

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এসব কথা লেখেন।


বিজ্ঞাপন


পোস্টে আযমী বলেন, সেনাবাহিনীতে যোগ্যতা ও দক্ষতার পাশাপাশি জ্যেষ্ঠতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়। ২০০৫ এ আমি কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে পদোন্নতি পাই। সে সময় আমার সেনাপ্রধান হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠেনি। জেনারেল মঈন এর পরবর্তী তিন সেনাপ্রধান-জেনারেল মুবিন, জেনারেল ইকবাল করীম ভুঁইয়া ও জেনারেল বেলাল সকলেই আমার সিনিয়র। যদি আমাকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত না করা হতো এবং যদি সেনাবাহিনীর রাজনীতিকরণ করা না হতো, তাহলে হয়তো বা জেনারেল বেলালের পরে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী আমার নাম বিবেচনায় আসতো।

আরও পড়ুন

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমীর বরখাস্তের আদেশ ‘প্রমার্জনা’

আয়নাঘর ঘুরে এসে যা লিখলেন গোলাম আযমপুত্র আযমী

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল—কারামুক্ত সাবেক ডিজি ডিজিএফআই জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দারকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব না দিয়ে জেনারেল মঈনকে দেওয়া হয়েছে বলে অনেকে পোস্ট/কমেন্ট দিচ্ছেন। এটাও শতভাগ ভুল। এই রেজ্জাকুল হায়দার বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৫ম শর্ট কোর্সের সাথে ১৯৭৭ সালে কমিশন লাভ করেন। ২০০৫ সালে উনারও সেনাপ্রধান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন পাওয়া চৌকস জেনারেল রেযাকুল হায়দার এর ২০০৫ এ সেনাপ্রধান হওয়ার কথা ছিল। উনার ছবিসহ নাম কোনো কোনো পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছিল। তিনি জেনারেল মঈন এর তিন বছর এবং জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার এর ৬ বছর সিনিয়র। কোনো এক অদৃশ্য কারণে জেনারেল মঈন সেনাপ্রধান হন।

এমআই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর