রাজধানীর মগবাজার চৌরাস্তা সংলগ্ন সুইট স্লিপ আবাসিক হোটেল থেকে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং হোটেলটির তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার পর রফিকুলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এর আগে তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিন (মঙ্গলবার) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক।
তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রফিকুল ইসলামকে থানায় আনা হয়েছিল। তিনি মূলত তাদেরকে (নিহত তিনজন) হোটেল থেকে খাবার এনে খাইয়েছিলেন। এরপর তারা অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যান।’
ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত প্রবাসী মনিরের ইতালি প্রবাসী ভাই মামলা করেছেন। এরপরই রফিকুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে রফিকুল রাতে যেখান থেকে খাবার এনেছিলেন, সেই ভর্তা ভাত রেস্টুরেন্টের সকল কর্মচারী, বাবুর্চি এবং নিহতদের সন্দেহভাজন আত্মীয়-স্বজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৮ জুন) ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রবাসী মনির হোসেন তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার ও ছেলে নাঈমকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। রাত্রিযাপনের জন্য তারা ওঠেন মগবাজার চৌরাস্তা সংলগ্ন হোটেল সুইট স্লিপে।
এদিন রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু পরদিন (রোববার) সকালে তিনজনই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান। তাদেরকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এমআইকে/এএইচ