সকাল থেকেই গুমড়ে ছিল আকাশ। সাদা-কালো মেঘের আনাগোনা ছিল দিনভর। সূর্যের সঙ্গে লুকোচুরি খেলায় মত্ত ছিল মেঘ। দুপুর গড়াতেই ভারী হয়ে ওঠে আকাশ। বিকাল চারটা নাগাদ শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। বাতাসের সঙ্গে ওড়ে ধুলোবালি।
নগরের পথ-ঘাটে পথচারীরা চোখ-মুখে হাত দিয়ে আশ্রয় খোঁজেন। ততক্ষণে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামে। এক পশলা বয়েও যায়। রাজধানীতে অফিস ফেরত নাগরিকরা পড়েন বিপাকে। বৃষ্টির ছাট এড়িয়ে দৌড়ে পালান ছাউনিতে।
বিজ্ঞাপন
রবিবার বিকেল থেকে ঢাকার বেশিরভাগ এলাকাতেই এমন ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডব চলে। এ যেনো বসন্তে বৈশাখের আবাহন। তবে ঝড় খুব একটা দাপটা দেখায়নি। ঝড়ের চেয়ে বৃষ্টির আধিকত্যই ছিল বেশি। এখনো কোথাও কোথাও বইছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি।
নগরের রাজপথে চলাচলা করা গাড়িগুলোর চাকায় বৃষ্টির পানিতে ঘূর্ণি তৈরি হয়ে ফেনার সৃষ্টি হয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সাবান গোলা পানি ছিটিয়েছে। একটু পর ঝাড়ু দিয়ে ধুয়ে মুছে দেবে। বেলা শেষে এমন ঝড়-বৃষ্টির দাপট রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গেছে। ঢাকার আশপাশের জেলাতেও এমন পরিবেশ বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে দিন গড়িয়ে রাত নামলেও বৃষ্টি এমনই থাকবে। বসন্ত বাতাসে সঙ্গী করে বইবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের
বিজ্ঞাপন
দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। আগামীকালও আকাশ মেঘলা থাকবে। তবে থাকবে না বৃষ্টির রেশ।
আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গড় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৯ কিলোমিটার। যা দিনশেষে বেড়ে দিগুণ, তিনগুণ হয়েছে।
সকালে বাতাদের আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ। বিকেলে আদ্রতা আরও বেড়েছে।
সকাল নয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
যেসব এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে সেসব এলাকায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। অন্যদিকে দেশের যেখানে যেখানে এখনো গুমোট ভাব বিরাজ করছে সেসব এলাকায় রাতের তাপামাত্রা কিছুটা বাড়বে। বৃষ্টির প্রভাবে আগামীকাল কিছুটা ঠাণ্ডাভাব বিরাজ করবে।
এজেড/এমআর

